অনলাইন ডেস্ক ॥ একটি সেতু নির্মাণে পরামর্শকের পকেটেই যাবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। যদিও এই খাতে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছিল ৭০ কোটি ৪৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা। পরিকল্পনা কমিশন এত বেশি ব্যয়কে অযৌক্তিক মনে করে যৌক্তিকভাবে কমানোর সুপারিশ দিয়েছিল। সেটি মেনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা কমিয়ে পরামর্শক খাতে ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৩ কোটি ৫০ লাখ ২৬ হাজার টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩৮৬ কোটি ২৬ হাজার টাকা এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ওমফআইডি) ঋণ থেকে ৬৩৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় হতে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় এটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। অনুমোদন পেলে চলতি বছর হতে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপাশা-দুমকি মহাসড়কটি বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি ব্যবহার করে বাকেরগঞ্জ ও দুমকি উপজেলার জনগণ বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা সদরসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় যাতায়াত করে। এই সড়কে পাণ্ডব-পায়রা নদী অবস্থিত হওয়ায় বাকেরগঞ্জ ও দুমকি উপজেলার জনগণ সরাসরি ও স্বল্প সময়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় যাতায়াত করতে পারে না। বর্তমানে এই স্থানে ফেরির মাধ্যমে যোগাযোগ চলমান আছে। এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় পান্ডব-পায়রা নদীর ওপর ১৩০০ মিটার নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ করা হলে বাকেরগঞ্জ ও দুমকি উপজেলার জনগণ বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা সদরের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনসহ প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।’
Leave a Reply