চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া কাঠালগাছে ঝুলন্ত জেসমিন নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে শশীভূষণ থানার এওয়াপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের স্বামী আবুল কালামের বসত বাড়ির বাগানের কাঠাল গাছ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। নিহতের পরিবার বলছে, পিটিয়ে হত্যার পর গলায় ওড়না জড়িয়ে মৃতদেহ বসত বাড়ির পুকুর পাড়ে কাঠাল গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মরদেহে আঘাতের কোন চিহ্ন মেলেনি। লাশ ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। জেসমিন আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জাহের বেপারীর মেয়ে। নিহতের নানা মোতাহার হোসেন মাতাব্বর জানান, ১০ মাস আগে এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সামছল হক মাঝির ছেলে আবু কালামের সাথে জেসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবু কালম যৌতুকের জন্য জেসমিন ও তার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল। এই যৌতুক ইস্যু নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন ঝগড়া ফ্যাঁসাদ লেগেই ছিল। সোমবার দিবাগত রাতে স্বামী আবুল কালাম ও তার পরিবারের সদস্যরা জেসমিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে এবং এই হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে রাতের আধারে বসত বাড়ির পুকুর পাড়ের কাঠালগাছে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পাড়া প্রতিবেশীর বরাদ দিয়ে শশীভূষণ থানার জ্যেষ্ঠ্য উপ-পরিদর্শক কমলেশ দাস জানান, ঘটনার আগের দিন সোমবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সূত্র ধরে স্বামী আবু কালাম স্ত্রী জেসমিনকে মারধর করে। তবে এই ঝগড়ার কারণ সম্পর্কে পাড়া প্রতিবেশীরা পুলিশকে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারেননি। সকালে পাড়া প্রতিবেশীদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আবু কালামসহ ওই বাড়ির ৫টি পরিবারের সদস্যরা সবাই পালিয়ে যায়। শশীভূষণ থানার অফিসার ইন চার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের দেহে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর কারন জানাযাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply