স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যবসায়ী নিজাম চৌকিদারকে বন্দর থানা পুলিশ অপহরনকারীর বাড়িতে থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর এখন পর্যন্ত আহত নিজামের স্ত্রী সিমা বেগমের অপহরন,মারধর ও সাথে আড়াই লক্ষ টাকা লুঠে নেওয়া মামলাটি রহস্যজনক কারনে বন্দর থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়নি। বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানায় সিমা বেগমের অভিযোগ দায়ের করা তথ্য সূত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বন্দর থানাধীন লাহারহাট বাসস্টান্ড ব্যবসায়ীক কাজে অবস্থান করাকালীন সময়ে অপহরনকারী মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ আবু সাঈদ, মোঃ নোমান কাজী, মোঃ শামীম খান লিখন, মোঃ শাহ নেওয়াজ শাহীন খান, মোঃ রফিক, মোঃ নাজমুল খান প্রায় ১২ থেকে ২০ জনের একদল পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে একটি হলুদ অটো গাড়িতে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অপহরনকারী নিজাম চৌকিদারকে তাদের বাড়িকে আটকে রেখে বিভিন্নভাবে শারিরিক নির্যাতন করে তার সাথে থাকা ব্যবসায়িক প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনা স্থানীয়রা দেখে নিজামের পরিবারকে অবহিত করা হলে পরবর্তীতে নিজাম চৌকিদারকে রক্ষা করা সহ উদ্ধার করার জন্য বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুিলশ অভিযান চালিয়ে অপহরনকারী দলীয় নেতা মোঃ সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় জখমপ্রাপ্ত নিজাম চৌকিদারকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নিজাম চৌকিদার হাসপাতালের ৫ম তলায় সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নিজাম চৌকিদারের স্ত্রী মোসাঃ সিমা বেগম বাদী হয়ে ১২জন অপহরনকারীর নাম সহ আরো বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বন্দর থানায় মামলা করার আবেদন করে। সিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন দেড়দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত তার দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসাবে থানায় গ্রহন করা হয়নি। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় কল করা হলে অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বরিশাল সার্কিট হাউজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আইন শৃঙ্খলা সভায় থাকার কারনে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ওসি তদন্ত সানোয়ার হোসেনকে একধিকবার কল করা হলে তিনি একবারের জন্য কল রিসিভ না করায় কেন মামলা গ্রহনে বিলম্ব হচ্ছে সে বিষয়ে তারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply