রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
পাটখড়ি বিক্রি করে চলছে শাহাদাত-শিরিনের সংসার

পাটখড়ি বিক্রি করে চলছে শাহাদাত-শিরিনের সংসার

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের পশ্চিম মলুহার গ্রামে বসবাস শাহাদাত মেনন ও শিরিন বেগম দম্পতির। তাদের উপার্জনের একমাত্র পথ ‘পাটখড়ি’ বিক্রি। যা দিয়ে প্রায় দুই দশক ধরে চলছে তাদের সংসার।
পরিবারের অন্য সদস্যরা শাহাদাত মেনন ও শিরিন দম্পতিকে পাটখড়ি সংগ্রহ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ ও বিক্রির কাজে সহায়তা করে থাকে। মহামারি করোনাকালে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বাজার দরে কিছুটা হেরফের ঘটলেও বেচাবিক্রিতে তেমন কোন প্রভাব পরেনি বলে জানিয়েছেন তারা। বর্তমান বাজারে ১ কাহন পাটখড়ি আকার অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি করা হয়ে থাকে বলে জানিয়ে ব্যবসায়ী শাহাদাত মেনন বলেন, মূলত পানের বরজ তৈরিতে পাটখড়ি ব্যবহার করা হয়। এরপর ব্যবহার হয় ফুলের ঝাড়ু তৈরি ও জ্বালানি হিসেবে। তবে বরিশাল অঞ্চলে পানের আবাদ দিন দিন বাড়তে থাকায় পাটখড়ির চাহিদাও বেড়েছে।
তিনি বলেন, এসব পাটখড়ি মূলত গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী, মোকসেদপুর এবং নড়াইলের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে থাকি। এরপর এগুলো বাড়িতে নিয়ে এসে আকার অনুযায়ী আলাদা করে শুকানো হয়। তারপর নতুন করে আটি বেধে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়। তারপর হাটের সময় এগুলো বিক্রি করি। যার বেশিরভাগ ক্রেতারাই স্থানীয় পানের বরজ যেমন- বরিশালের বাবুগঞ্জ, আগৈলঝাড়া, উজিরপুরের গুঠিয়া, নারায়নপুর, ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলার চাষিরা। ১২ মাসই এ ব্যবসা করেন জানিয়ে শাহাদাত আরও বলেন, মৌসুমের সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে পাটখড়ি কিনে আনি। এরপর তা গ-া, পোন আর কাহন হিসেব সংরক্ষণ করে সারাবছর ধরেই বিক্রি করে থাকি। স্থানীয়ভাবে ৪ পিসে ১ গ-া, আর ২০ গ-ায় এক পোন, আর ১৬ পোনে ১ কাহন এ হিসেবেই পাটখড়িগুলোর হিসেব রাখা হয়। তবে কেনার সময় আটি হিসেবে করে কিনতে হয়, সেখানে ৬০ পিসও থাকতে পারে আবার ৮০ পিসও থাকে। শাহাদাত মেননের স্ত্রী শিরিন বেগম বলেন, ২০ বছর আগে তার স্বামী অত্র এলাকায় একাই এ ব্যবসা শুরু করেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে নদীপথে পাটখড়ি কিনে আনার পর পরিবারের সবাই মিলে সেগুলো বাছাই করে আকার অনুযায়ী শুকানো ও আটিবাধার কাজ করি। সাংসারিক কাজের বাহিরে এ কাজে তেমন বেগ পেতে হয় না বলেও জানান তিনি। শিরিন বেগম বলেন, খড়ির বাজার ভালো থাকায় নতুন করে আরও দুইজন এ ব্যবসা শুরু করছে। তবে তাদের ব্যবসার কারনে আমাদের আর্থিক কোন ক্ষতি হয়নি । কারণ বর্তমানে এখানে পাটখড়ির অনেক চাহিদা বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মল্লিক জানান, পরিবারের সবাই মিলে এ খড়ির ব্যবসা শাহাদাতকে গুছিয়ে দেন। কারন এ ব্যবসা করেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ ভালো আছেন শাহাদত মেনন। দিন দিন আর্থিক উন্নতিও হচ্ছে তার। অত্র অঞ্চলে তাদের ব্যবসা যেমন বড় হয়েছে, তেমনি তাদের দেখে অনেকেই এ ব্যবসায় আগ্রহীও হয়েছেন। এছাড়া যারা নতুন করে এ ব্যবসায় ঝুঁকেছেন তারাও কখনো লোকসানের কথা বলেননি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com