মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
আমনের বীজ ও শ্রমিক সংকট, শঙ্কায় চাষিরা

আমনের বীজ ও শ্রমিক সংকট, শঙ্কায় চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় বীজতলা ও কৃষি শ্রমিক সংকটে আমন চাষাবাদে ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি অতিবর্ষণ ও বিষখালী নদী পানি বেড়িবাঁধ ভেংগে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতায় কারণে উপজেলার ৫০ ভাগ জমির আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে। এতে কৃষক সঠিক সময়ে আমন বীজ রোপন করতে না পারলে আশানুরুপ ফসল নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, একটি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নসহ দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যার অধ্যুষিত এ উপজেলায় ২৪, ৫৭৩ জন কৃষক রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যম পর্যায়ের কৃষক ১ হাজার ৪৫০ জন, ক্ষুদ্র কৃষক ১৭ হাজার ২০০ জন প্রান্তীক ৩ হাজার ৫৩৬ জন এবং ভূমিহীন কৃষক রয়েছে ২ হাজার ২৮২ জন। আমন ধানের জন্য চাষাবাদের জমি নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৭ হেক্টর। এর রোপা আমন চাষাবাদের জন্য ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়। কিন্তু দেড় মাস পূর্বে এ অঞ্চলে দীর্ঘ একসপ্তাহব্যাপী ভারি বর্ষণ এবং বিষখালী নদীর পানি বেড়িবাঁধ ভেংগে নি¤œাঞ্চলসহ আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এসময় জলাবদ্ধতার কারণে নিচু জমির বীজতলাসহ প্রায় ৫০ ভাগ আমনের বীজতলায় পঁচন ধরে।
এতে আমনের চারা সংকটে পড়েন চাষিরা। কৃষকরা তাদের কৃষি শ্রমিক নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে অধিক দাম দিয়ে বীজ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। বীজ সংগ্রহকালে বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের ষাটোর্দ্ধ কৃষক শাহজাহান মিয়া জানায়, ‘ এককেজি ধানের বীজ কিনতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় যা গত বছরের তুলায় দেড়গুন বেশিতে কিনতে হচ্ছে। ‘ ওই সময় সফেজ আলী নামে অন্য একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, আমরা কৃষি শ্রমিক ঠিকমত সময় পাই না। জনপ্রতি শ্রমিককে দৈনিক ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। তাও চাহিদার তুলনায় অনেক কম।’ এমন সংকটময় মুহূর্তে চাষিরা দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করে জমি রোপণের চেষ্টা করেন। চারা সংকটে এখনো অনেক চাষি তাদের জমি রোপণ করতে পারেননি।
চাষাবাদের মৌসুমও শেষ হয়ে আসছে। ফলে, এবার কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কিনা এনিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন অনেক চাষি। ফসলের মাঠে বীজ রোপন করতে আসা একাধিক চাষি জানায়, আশ্বিনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমনের বীজ রোপন করতে না পারলে আশানুরুপ ফসল পাওয়া যাবে না। এদিকে, বীজতলা নষ্ট এবং চারা সংকটের খবর গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক ভরে আমনের চারা এনে বিক্রি করছে মানুষ।
বরিশালের গৌরনদী, বাবুগঞ্জ ও বানারীপাড়া থেকে কৃষকরা মিনি ট্রাক ভরে এ অঞ্চলে বাজারগুলোতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কৃষি বিভাগ বলছে, বিভিন্ন দিক থেকে উফশি ও স্থানীয় জাতের চারা আসায় সংকট কেটে গেছে। সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষি শ্রমিক এনে চাষাবাদ করছেন চাষিরা। মৌসুম তিনসপ্তাহ পিছিয়ে পড়লেও আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোনো সমস্যা হবে না। উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের চাষি বিরেন মন্ডল জানান, চারা না থাকায় এখনো দুই বিঘা জমি রোপণ করতে পারেননি তিনি। তবে বীজ ও শ্রমিক সংগ্রহ করে জমিতে বপন করতে বাড়তি কিছু সময় লাগবে। বরিশালের বানারিপাড়া থেকে চারা বিক্রি করতে আসা রহমান জানান, তারা কয়েকজন মিলে গত এক সপ্তাহ ধরে বেতাগী বাজারে স্থায়ী দেশি জাতের আমনের চারা বিক্রি করছেন। চারার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এক পোন (৮০ মুঠি) চারা ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০হাজার টাকার চারা। এ অঞ্চলে এই প্রথম তারা চারা বিক্রি করতে আসেন বলে জানান।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন,‘ এ বছর উন্নত ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের আমনের চাষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০ ভাগের বেশি জমিতে বীজ রোপন সম্পন্ন হয়েছে। চারা সংকটের কারণে মৌসুম কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা আসায় এখন আর কোনো সংকট অনেকটা কমে গেছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে এখনও ভালো ফলনের আশাবাদী। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সার ও কীটনাশক ওষুধ বিতরণ করা হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com