রাজশাহী ব্যুরো ॥ রাজশাহী বিভাগে দিন দিন বেড়েই চলেছে রোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে ৪০ জন বেড়ে আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৮০৬ জনে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে পাঁচ জেলায় করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বগুড়ায় ১৮ জন। এছাড়াও নওগাঁয় ১৩ জন, জয়পুরহাট ৬ জন, রাজশাহীতে দুইজন ও সিরাজগঞ্জে একজন। শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য।
তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিভাগে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮০৬ জনের। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৩৭ জন। করোনায় মারা গেছেন ৫ জন। করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ২০০ জন।
ডাঃ গোপেন্দ্র নাথ বলেন, রাজশাহী বিভাগে এখন করোনার হটস্পট বগুড়া। এই জেলায় সবমিলিয়ে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৩ জন। এর মধ্যে ৫৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনা জয় করেছেন ২৮ জন। করোনায় প্রাণ গেছে একজনের। বাকিরা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিভাগে আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জয়পুরহাট। এ জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে ১৭২ জনের। করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৭০ জন। আর নওগাঁয় বিভাগে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার একদিনে শনাক্ত হয়েছে ১৩ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৩ জন।
একদিনে দুইজনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহীতে আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ জন। এখানকার ৮ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর করোনা জয় করেছেন এখানকার ১১ জন। তবে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন।
নাটোরে আক্রান্ত ৫৫ জন। করোনা জয় করেছেন ৯ জন। করোনায় মারা গেছেন একজন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৪ জনের। করোনা জয় করেছেন ৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে একজন শনাক্ত হয়েছে আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ২৭ জন। আর পাবনা এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৫ জনের। সিরাজগঞ্জে একজনের প্রাণ গেছে করোনায়। সুস্থ হয়েছেন তিনজন। আর পাবনায় সুস্থ হয়েছেন সাতজন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, রাজশাহী বিভাগে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর আক্রান্তের সংখ্যাটি প্রতিদিনই বাড়ছে। পরিস্থিতি অবনতিরও আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখন মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। করোনা মোকাবিলায় মানুষকেও সচেতন হতে হবে। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পড়তে হবে। বিশেষ করে সরকারের দেয়া সব নির্র্দেশনাবলী মানতে হবে। তাহলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
Leave a Reply