রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি ॥ করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমোন্তাজ-চরআন্ডা খেয়ায় যাত্রী পারাপারে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত জনপ্রতি ভাড়া ৫ টাকার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে ১৫ টাকা। স্থানীয়রা জানায়, করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে চরমোন্তাজের সঙ্গে চরআন্ডাবাসীর যোগাযোগের একমাত্র খেয়ায় জনপ্রতি ৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রীদের সঙ্গে শিশু কিংবা ছোটখাটো ব্যাগ থাকলে তার জন্যও বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে। রাতে যাত্রী পারাপারে ব্যক্তি দেখে ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক যাত্রীর অভিযোগ, ঈদ মুহুূর্তে জনপ্রতি ভাড়া ছিল ২০ টাকা। এখন ভাড়া ১৫ টাকা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ইজারাদার হুমকি-ধামকি দেয়।
জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত টোলরেট অনুসারে খেয়া পারাপারে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী প্রতি ভাড়া পাচঁ টাকা। মোটরসাইকেল ১০ টাকা। বাই সাইকেল চার টাকা। ছাগল, ভেড়া ৪ টাকা, গরু এবং মহিষ ১০ টাকা। বিভিন্ন মালামাল ৪০ কেজি পর্যন্ত ৩ টাকা এবং রিক্সা-ভ্যান ৬ টাকার টোলচার্ট করা হয়। আর এ টোলচার্ট প্রতিটি খেয়াঘাটের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি এইসব নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে তিনগুণ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে ইজারাদার।
চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘চরআন্ডা থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক এসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে। ইজারাদার কামালকে ফোন দিয়ে আমি বলে দিয়েছি অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে, আমার কথা অমান্য করে বেশি ভাড়া আদায় করলে এর প্রতিকারের জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।’ চরমোন্তাজ-চরআন্ডা খেয়ার ইজারাদার মো.কালাম হাওলাদার বলেন, ‘করোনার কারণে একটা মানুষের বেতন ১৫ হাজার টাকা। দুইটা ট্রলার কিনছি ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকায়।
আরও খরচ আছে, হ্যাতো (এসব) আপনে বোঝেন। করোনার কারণে ভাড়া আরও বাড়ান লাগে। করোনার মধ্যে ২০ টাকা কইরা লইছি। এখন ১৫ টাকা করে নেই।’ এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে তিনি অবহিত হয়েছেন। সুনিদির্ষ্ট অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply