পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরে কদমতলায় পল্লী বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গরু মারা যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মোতালেব শেখ নামের এক বৃদ্ধকে পেটানো ও নগদ অর্থসহ মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোতালেব শেখের মেয়ে রাবেয়া বেগম স্বাক্ষরিত বুধবার সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার অনুপ শিকদারের বাড়ির বিদ্যুতের তারে পৃষ্ট হয়ে তাদের একটি গাভী মারা গেলে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে তারা অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে এই অভিযোগ দেওয়া নিয়ে অনুপ শিকদারের সাথে মোতালেব শিকদারের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে কদমতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হানিফ খাঁন ও তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে ঘটনাস্থল পোরগোলা মোতালেবের বাড়ি হাজির হয়। এ সময় হাতুড়ি ও গাব গাছের লাঠি নিয়ে মোতালেব শিকদারের উপর হামলা চালায় হনিফ খান। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
এ সময় বাবাকে বাঁচাতে ছেলে ইমরান ও মেয়ে শিরিন আক্তার এগিয়ে আসলে চেয়ারম্যান নেতৃত্বে ইমরান ও শিরিনকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলাপাতারি পিটিয়ে আহত করে। এ পেটোয়া বাহিনীতে অংশ নেয় জাহাঙ্গীর, আল আমীন, অনুপ শিকদার, কবির শেখ ও আবুল সরদার। পুরো পরিবারকে পিটিয়ে আহত করার পর তারা মোতালেবের ঘরে ঢুকে তার সমস্ত আসবাব পত্র ভেঙে গুড়িয়ে দেয় তারা। ঘরে থাকা নগদ ১৭ হাজার টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
আহত মোতালেব শিকদার জানান, আমার প্রায় এক লাখ টাকার গাভীটি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়। গাভীটিকে বাঁচাতে গিয়ে আমরাও মরতে বসেছিলাম। এ কথাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জানিয়ে আবেদন করি। এলাকার চেয়ারম্যান হানিফ খান এ বিষয়ের ফয়সালা না করে নিজের হাতে আমাকে মেরে আহত করেছে। সন্তানরা বাঁচাতে এলে তাদের মেরেছে ও নগদ অর্থসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান হানিফ খাঁন বলেন, পল্লী বিদ্যুতের লোকরা ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের তারের সংস্কার করতে এলে মোতালেব শিকদার এবং তার ছেলে মেয়েরা বাধা দেয়। ওই এলাকার জাহাঙ্গীর মেম্বর এ কথা আমাকে জানায়। আমি ওই মেম্বরসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে যাই। তার ছেলে ইমরান আমাদের দিকে তেড়ে আসে এবং খুব খারাপ ব্যাবহার করে। ওই পরিস্থিতিতে আমার সাথের লোকজন ওদের মেরেছে। শুনেছি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম বাদল জানান, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply