পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ বরিশালের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী বালিকাকে নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে পালিয়ে গিয়ে আমোদ ফুর্তি করার অভিযোগ উঠেছে সারেংকাঠী ইউনিয়নের সৈয়দ মীরের লম্পট ছেলে মোঃ হাসিবের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত সপ্তাহে অটো বাইক চালক হাসিব বরিশালের রমজান মল্লিকের মেয়ে ( ছদ্ম নাম সুইটি-১২) কে নিয়ে চালক হাসিব নিজের গাড়িতে উঠিয়ে অন্যত্র নিয়ে চলে যায়। এদিকে গত ২৪মার্চ বরিশালের এ ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সুইটি তার নানা বাড়ী সারেংকাঠী আসে লক ডাউনের আগে। আর সেই সূত্র ধরেই প্রেমিক যুবক বেহায়া চরিত্রের হাসিবের কুনজর পড়ে কুমারী বালিকার উপর। স্কুল পড়ুয়া কিশোরীকে প্রথম দেখেই হাই হ্যালো দিয়ে মিশন শুরু করে। অবশ্য বহু বালিকার ক্ষতি সাধন করা খল নায়কের বাড়ি মেয়ের নানা বাড়ীর খুব কাছে। আর এখনেই বেহায়া চরিত্রের হাসিব আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। নিস্পাপ কোমল মতি কিশোরী বালিকা রূপের মূর্ছনা চারিদিকে বিকশিত হওয়ার আগেই ছলনাময়ী ভোমর হয়ে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সুইটির ফুলের বাগানে। মধু পান করার নিমিত্তে নষ্ট চরিত্রের রোমিও অটো বাইক চালক হাসিব পাগলা কুকুরের মত পিছু নিয়েছে শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে সুড়সুড়ি দেওয়ার আশায়। আর সেই মিশন নিয়ে শুরু করে দিয়েছে এদিক সেদিক গোল্লার ছুট খেলা।
স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, লম্পটের মিশন প্রায় সফল হয়েছে শেষ সময়ে।খারাপ চরিত্রের হাসিব সুইটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের বরতকাঠী গ্রামে আপন ফুপার বাসায় । রাত্রি যাবনের নামে মধু চান্দিমা করার নিমিত্তে। এদিকে বিকাল থেকেই মেয়ের মা নাসিমা বেগম অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়ের হদিস পাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যাওয়ার আগেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোঃ আঃ রাজ্জাককে অবগত করে মেয়ের মা । ঘটনার পরবর্তী সময়ে চৌকস জনপ্রতিনিধি মেম্বার আঃ রাজ্জাক সাহসী উচ্চারন সহ সাহসী কার্যক্রম নিয়ে তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করে দেন মুহূর্তের মধ্যে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে চৌকিদার ছেলের আত্মীয়দের বাসায় বাসায় যান। এক পর্যায়ে রাত্র তিনটার দিকে সুইটিকে বরতকাঠী থেকে উদ্ধার করা হয়। অবশ্য সেই সময়ে গ্রাম পুলিশ ও সাহসী জনপ্রতিনিধি কে দেখা মাত্র লম্পট হাসিব মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে। অক্ষত অবস্থায় বরতকাঠী থেকে কুমারী বালিকা সুইটিকে কে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে সুইটি ঘটনার সত্যতা অকপটে স্বীকার করেন। যদিও জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে বলে জানান।
এদিকে সৈয়দ মীরার ছেলে বিগত সময়ে আঁখি সহ তিনটি মেয়েকে প্রেমের নামে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের নামে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করে আমোদ ফুর্তি করার অভিযোগও রয়েছে। তবে ছেলের বাবা রিকশা শ্রমিক সৈয়দ মীরা সাংবাদিকদের বলেন, আমার জানা মতে আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়নি। বরং আমার ছেলে মেয়ের সম্মতিতে আমার এক আত্মীয়র বাসায় বরতকাঠী যায়। আবহাওয়া ভালনা বিদায় মেয়ে ও ছেলে ওখানেই থাকার চিন্তা ভাবনা করে। তবে আমার এলাকার মেম্বার আমাদের পরিবারের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগে ছিল বহু দিন ধরে। আর সেই সূত্র ধরেই স্থানীয় মেম্বার তুরুপের তাস খেলে যাচ্ছে মেয়ে পরিবার নিয়ে। তবে বর্তমানে অটো বাইক চালক পলাতক রয়েছে। তবে মেম্বার সকল অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন। বরং দৃঢ় চিত্তে বলেন, আমি বরাবরই সাহসী কাজ কর্ম করে আসছি জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগেও।
অবশ্য এ ব্যাপারে মেয়ের মা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি গ্রাম্য রাজনীতি বুঝি না। বরং আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাই। অবশ্য এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ সায়েম গ্রাম্য আদালতে বিচারের কথা বলেন। তবে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ পেশ করি লিখিত আকারে। সর্বশেষ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন সরেজমিনে সারেংকাঠী এলাকায় আসেন ছেলের বিষয়ে সঠিক তথ্য যাছাই বাছাইয়ের জন্য। প্রশাসনের ভাষ্য মতে ছেলেকে বাসায় পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে এলাকার চেয়ারম্যান মোঃ সায়েম গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি উভয় পরিবারের স্বার্থে সঠিক নিয়মে একটা চমৎকার ও গঠন মূলক বিচারের মাধ্যমে সুন্দর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো।
Leave a Reply