গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি টোলঘর ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে শহরের পশ্চিম ঝালকাঠি যুবউন্নয়নের সামনের টোলঘরটি ভেঙে ফেলা হয়। পৌরটোল আদায়ের নামে অবৈধভাবে মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হতো। ঝালকাঠি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার টোলঘরটি পরিচালনা করতেন।
যানবাহন চালকদের কাছ থেকে জানা যায়, ঝালকাঠি পৌর এলাকায় যানবাহনের প্রবেশে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদারের দায়িত্ব পায় কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদার। এ বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে তিনি দায়িত্ব নিয়ে লোকজন দিয়ে ঝালকাঠি-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকায় যুবউন্নয়নের সামনে একটি টোলঘর স্থাপন করে অবৈধভাবে এ সড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনে ৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিতেন। আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করে যেসব গাড়ি বরিশাল, ঢাকা, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন স্থানে যেতো, সেই গাড়ি থেকেও নেওয়া হতো টোলের নামে চাঁদা। অথচ সড়ক ও জনপদের রাস্তা ব্যবহার করা যানবাহন থেকে টোল আদায়ের কোন নিয়ম নেই। এর পরেও ইজারাদারের লোক হিসেবে পরিচিত সুতালড়ি এলাকার মনির হোসেনসহ চার-পাঁজন পুলিশের মত ( রাতে লালবাতি জালিয়ে) যানবাহন থামিয়ে এ টোলের নামে চাঁদা আদায় করতো। এমনকি টোলঘরে অবৈধভাবে বিদ্যুত সংযোগও নেওয়া হয়েছিল। আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ এ টোল আদায়ের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানতে পেরে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা আখতার। টোল আদায়ের নামে অবৈধ চাঁদাবাজী বন্ধে বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে টোলঘরটি ভেঙে ফেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছবীর হোসাইনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এসময় বিদ্যুত বিভাগের কর্মীরা টোলঘরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ব্যাপরে জানতে পৌর কাউন্সিলর দুলাল হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply