পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ সরকারের বদলির আদেশ অমান্য করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দুঃসাহস দেখানোর অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার সাবেক উপ সহকারী কৃষি অফিসার রথিনের বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে মনগড়া অফিস করে চরম বিগত সময়েই ছিল বিতর্কিত। বিগত সময়ে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে উপ সহকারী কৃষি অফিসার হয়ে মাঠ পর্যায়ে বহু অনিয়ম করে স্থানীয় উপজেলার কৃষি ডিপার্টমেন্টের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। স্থানীয় পর্যায়ে উপজেলা কৃষি খাতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে নিজেকে করেছে রিষ্টপিষ্ট। কয়েক বছর ধরে নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সার বীজ সহ কৃষকদের সাথে নানান কায়দায় বহু অনিয়ম করে বলে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন গন মাধ্যম কর্মীদের । উপজেলা কৃষি ডিপার্টমেন্টের মান সন্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বহ বছর ধরে বাবু রথিন গরামী। পাশাপাশি হত দরিদ্র পরিবারের কৃষকদের জিম্মি করে ধরাকে সরা জ্ঞান না করে একক সিদ্ধান্ত নিয়ে নানান দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে নেছারাবাদ উপজেলার উপ সহকারী কৃষি অফিসার। গত বছর জাতীয় দৈনিক সহ বেশ কয়েকটি বিভাগের পত্রিকায় উপ সহকারী বাবু রথিন গরামির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে নানান দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয় সংবাদের মাধ্যমে। সেই সময়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর জেলা কৃষি কর্মকর্তারা সংবাদ মাধ্যমের নিউজ নিয়ে যাছাই বাছাই করেন। রথিন গরামীর বহু অনিয়মের চিত্র সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়। অপর দিকে দায়িত্ব পালনে ছিলো চরম অবহেলা।
এদিকে সর্বশেষ মঠবাড়িয়া উপজেলায় বদলি হওয়ার পরও এখনো নেছারাবাদে স্ব পদে দায়িত্ব পালন করে কঠিন দুঃসাহস দেখাচ্ছে। অপর দিকে দূর্নীতির সাথে সহযোগিতার প্রমান মিলে যাওয়ায় জেলা তদন্ত কমিটি শাস্তি স্বরূপ উপসহকারী কৃষি অফিসার বাবু রথিন গরামীকে বদলীর ছাড়পত্র ইসু করে।সকল বিষয়ে যাছাই বাছাই কল্পে দূর্নীতির ছাপ সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়। আর সেই সূত্র ধরেই জেলা কৃষি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক ভাবে মাঠ পর্যায়ে বদলির ছাড়পত্র প্রদান করেন গত মাসের ৩০ তারিখ । নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে মোট চারজনকে বদলির আদেশ দেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা। অথচ চারজনের মধ্যে তিনজন পার্শ্ববর্তী কাউখালি উপজেলায় কৃষি অফিসে সুন্দর ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বদলির আদেশ পাওয়ায় পর থেকেই। জেলা কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক ছাড়পত্র চিঠি ইসু হয় গত ৩০ মে। শাস্তি স্বরূপ বাবু রথিন গরামীকে মঠবাড়িয়া উপজেলায় বদলির আদেশ দেওয়া হয়। অপরদিকে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি নীতি মালা অনুযায়ী নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্যামল, বরুণ ও উত্তমকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাউখালি বদলি করা হয়।
স্থানীয় তথ্য মতে ছাড়পত্র পাওয়ার পরও দূর্নীতিবাজ সহকারী কৃষি অফিসার বাবু রথিন গরামীর লুকোচুরি খেলা চলছে নেছারাবাদ উপজেলার কৃষি অফিসে। যদিও রথিন গরামীর বর্তমান অবস্থা হচ্ছে শ্যাম রাখিনা কূল রাখি, উপায় কি তাই উপায় কি ? । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতভাগ ব্যার্থ হয়ে গত সপ্তাহে নেছারাবাদ উপজেলার কৃষি অফিসের বাইকে মাত্র একদিনের জন্য মঠবাড়িয়া উপজেলায় যান। আবার সেই দিনই স্ব স্ব শরীরে চলে আসেন নেছারাবাদে । মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশ্ন, ” বাবু রথিন গরামী কোন উপজেলার সহকারী কৃষি অফিসার “। এনিয়ে উপজেলায় নানান প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে সর্ব মহলে। অবশ্য উপজেলা কৃষি অফিসার বাবু চপল কৃষ্ণ নাথের সাথে কথা হয় বিভাগের গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। মিডিয়ার সকল প্রশ্নের জবাব দেন অকপটে। জেলার নির্দেশ মোতাবেক ছাড়পত্র দেওয়া সহ সকল বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে জেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবু বিভাশ চন্দ্র সাহা একবাক্যে সকল বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে নাম মাত্র বদলির বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ” আসলে দূর্নীতির বাসা বেধেছে সর্বত্র “। এটা এড়িয়ে চলাটাই হল কর্মজীবনের সার্থকতা। আসলে আমরা সকলকেই ভালো কাজ করার জন্য সুযোগ দেই। ভুল ত্রুটি সকলের মধ্যে কম বেশি আছে। তাই চূড়ান্ত কথা ছাড়পত্র অনুযায়ী স্ব স্ব এলাকায় কর্মস্থল হতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে কোন রকম অবহেলা সহ্য করা হবে না। বর্তমান সরকার দূর্নীতি মুক্ত সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কাজে কোন রকম দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবে না। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply