মঙ্গলবার, ২৩ Jul ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
শেবাচিমের গাইনী অপারেশন থিয়েটারে আগে বকশিস পরে বাচ্চা

শেবাচিমের গাইনী অপারেশন থিয়েটারে আগে বকশিস পরে বাচ্চা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র উন্নত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। প্রতিদিন শত শত মানুষ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এই হাসপাতালে আসেন উন্নত চিকিৎসা জন্য। তবে অভিযোগ রয়েছে করোনা ভাইরাসের মধ্যেও থেমে নেই কর্মরত কর্মচারী-এমএলএস ও আয়া-বুয়ার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বর্তমানে সেবার পরিবর্তে হয়রানির শিকার হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। খাবার থেকে শুরু করে ঔষধ চুরি, রোগী ও তার স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহার, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদে পদে বকশিসের নামে অর্থ-বাণিজ্য এটা শেবাচিমের রোগী ও তার স্বজনদের মুখে মুখে শুনা যাচ্ছে।
একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, ওয়ার্ড মাস্টারকে ম্যানেজ করেই গাইনী অপারেশন থিয়েটারে এসেছেন এমএলএস রাশিদা। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাশিদার বানিজ্যর চিত্র। অপারেশন থিয়েটার এর মধ্য থেকে সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এসে স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা বকশিশ দাবি করেন রাশিদা। বকশিশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নবজাতককে জিম্মি করে যে কোনোভাবেই টাকা আদায় করাই হলো তার মূল র্টাগেট। শুধু তাই নয় রাশিদা এক হাতে টাকা নেয় আর এক হাতে বাচ্চা স্বজনদের কোলে তুলে দেন। রোগীর স্বজনরা টাকা কম দিলেই দেখতে পায় তার পাওয়ার। একথায় বলা যায় রোগীর স্বজনরা জিম্মি রাশিদাসহ একাধিক আয়া-বুয়ার হাতে। এম এল এস রাশিদা বেগম অপকর্মের কারনে অতিষ্ঠ হয়ে এর পূর্বে ওখানের ডাক্তার নাসর্রা কতৃপক্ষের কাছে বলে তাকে ওখান থেকে সরিয়ে অন্য ওয়ার্ডে দেয়। তার কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও গাইনী ওটিতে আসেন রাশিদা। বর্তমানে গাইনী ওটিতে রোগীদের কাছে আতঙ্ক হলো এম এলএস রাশিদা। শনিবার রাতে গাইনী ওটির সামনে গেলে দেখা যায় রাশিদার বকশিস বানিজ্যির কৌশল। গৌরনদী থেকে গুরুত্বর অসুস্থ স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন দিন মজুর জুয়েল। পরে প্রসূতি ওয়ার্ডের কর্মরত চিৎকিসকরা তার অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত হাসপাতালের গাইনী অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় সিজার করার জন্য। চিকিৎসকরা অপারেশন করে মা ও সন্তান দুই জনকেই সেইভ করেন। নার্সরা নাবজাত শিশুটিকে তানিয়ার পরিবারের কাছে দিয়ে আসতে বলেন রাশিদাকে। পরে রাশিদা শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার স্বজনদের কাছে তুলে দেওয়ার আগে বকসিশ দাবি করেন ১ হাজার টাকা। রোগীর স্বজনরা রাশিদাকে ৩ শ’ টাকা দিলে রাশিদা তা নানিয়ে কঠোর হয়ে তানিয়ার স্বামী জুয়েলকে বলেন ১ হাজার টাকাই লাগবে। পরে রোগীরা স্বজনরা রাশিদার হাত-পা ধরে ৫শ’ টাকা দিয়ে রক্ষা পান। হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে,প্রায় ১ বছর আগে এম এলএস রাশিদা ও আয়া মিনু’র বকসিশ বানিজ্য নিয়ে বরিশালের স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো। তার পরও তার বানিজ্য থেমে থাকেনি। তার অপকর্মের দিকে কোন নজর নেই হাসপাতাল কতৃপক্ষের। বকসিশ বানিজ্যর কথা রাশিদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি বলেন খুশি হয়ে রোগীর স্বজনরা মিষ্টি খেতে যা দেয় তাই নেই। কোন রোগীর স্বজনদের কোন চাপ দেইনা টাকা জন্য। তবে কাল রোগীর স্বজনদের কাছে টাকা চাওয়ার জন্য আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। এ বিষয়ে শেবাচিমের গাইনী ওটির ইনর্চাজ নাছরিন বলেন, বিষয়টি আমাদের দেখার দায়িত্ব নয়। এটা দেখার দায়িত্ব কতৃপক্ষের তবে রাশিদার অপকর্মের কারনে তাকে এখান থেকে একবার সড়িয়ে অন্য জায়গায় দেওয়া হয়েছে। তার পরেও তিনি ওয়ার্ড মাস্টারকে কি ভাবে ম্যানেজ করে এখানে আসছে তা আমার জানা নেই। তাকে সড়িয়ে অন্য জায়গায় দেওয়ার জন্য আমি ওয়ার্ড মাস্টারকে বলেছি। তিনি আমার কাথা শুনছেনা। এব্যাপারে ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালামের মুঠো ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই ক্ষেপে উঠে বলেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। আমি রাশিদার কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। কোন শ্যালায় বলছে বলে ফোনটি কেটে দেয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com