নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলা উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের বেতনের টাকা থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন ও মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে। এই মহামারী করোনার মধ্যেও ধর্মীও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেমে নেই তাদের অনিয়ম কার্যক্রম। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তার কণ্যা শেখ হাসিনা দেশ নেতৃত্বে দেশের ইসলাম রক্ষায় ইমামদের তিনি করেছেন সামাজে প্রতিষ্ঠিত। ইমাম, ইসলাম সর্বপরি উপজেলায় সমজিদ ভিত্তিক গণ শিক্ষা, সহজ কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমে শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বিকার্য। সেখানেও চাঁদা তুলছেন উপজেলা সুপারভাইজারদ্বয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, তাদের কাছ থেকে ৫ মাসের বেতন থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছেন তারা। বর্তমানে হিজলা উপজেলায় ৮৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ২টি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। ১৫ জুন থেকে হিজলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষকদের বেতন প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। সেখান থেকেই শুরু চাঁদা আদায়। এর একটি অংশ অফিস সরঞ্জাম সংস্কার, মেরামতের কাজে ব্যায় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বিকার করেন আনোয়ার হোসেন। নিজের সাফাই গাইতে গিয়ে বলেন, নিজের বসার চেয়ারও তিনি নিজের টাকায় তৈরী করেন। তবে ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্টের নামে চাঁদা নেয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেন আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে উপজেলায় কতটি কেন্দ্র চালু আছে এবং এর তালিকা চাইতে গেলে দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন উপজেলা সুপারভাইজার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র নামে চলছে, অস্তিত্ব নেই অনেক কেন্দ্রের। অনিয়মের মাধ্যমেই চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্র গুলো। অস্তিত্ব বিহীন কেন্দ্রর নামে অর্থ আসা অনিয়মের মাধ্যমে সুফল ভোগ করছেন উপজেলা সুপারভাইজার আনোয়ার হোসেন ও মেহেদি হাসান এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র শিক্ষক। ভূক্তভোগী শিক্ষকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply