স্তন নারীদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এতে থাকে সন্তানের প্রথম খাদ্য। আর শারীরিক সৌন্দর্যে এটির অবদানের কথা বলাই বাহুল্য। তবু এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির প্রতি অধিকাংশ নারী কেন যেন অসচেতন। বিশেষ করে রোগের ব্যাপারে। স্তনের কিছু পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আনতে পারে বিপদের বার্তা। তাই কিছু লক্ষণের প্রতি সতর্ক থাকুন।
ফুসকুড়ি : ঘামাচির মতো ছোট ছোট ফুসকুড়ি সাধারণত পাত্তা দেওয়া হয় না। কিন্তু এ ফুসকড়ি যদি দেখা দেয় স্তনে, বিশেষ করে স্তনবৃন্তের আশপাশে, তাহলে অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কুঁচকে যাওয়া : স্তনের চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা টোল খাওয়া বিপদের লক্ষণ হতে পারে। স্তন ক্যানসারের প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে এটি একটি। এমন হলে হেলাফেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
চুলকানি : স্তনের বিভিন্ন অংশ চুলকাতে পারে। বলে রাখি, স্তনের চামড়া ভীষণ পাতলা। জোরে চুলকালে ছিলে যেতে পারে, কেটে যেতে পারে, রক্তপাতও হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো চাপ লেগে রক্ত জমাট বেঁধে ব্যথা হতে পারে। তাই স্তনে ঘন ঘন চুলকানি হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টোল পড়া : অনেকেরই স্তনের চামড়া ঢিলা থাকায় টোল পড়ে। এটা মনে রাখা দরকার, কুঁচকে যাওয়ার মতো টোল পড়াও বিপদ, অর্থাৎ স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। স্তনে হঠাৎ টোল পড়া শুরু করলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
চাকা অনুভব : পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর স্তন পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। কারণ এ সময়ই পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, স্তনে কোনো চাকা বা গোটার উপস্থিতি আছে কিনা।
অ্যালার্জি : স্তনে বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেক সময় অন্তর্বাসের কারণেও অ্যালার্জি হয়ে থাকে। অ্যালার্জি কারণ যা-ই হোক, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উত্তম। কারণ আপনি যেটা সাধারণ অ্যালার্জি ভাবছেন, সেটা হতে পারে স্তন ক্যানসারের লক্ষণ। কারণ স্তন ক্যানসারের একটি উপসর্গ হলো ঢ়ধমবঃ রোগ। এ অসুখে স্তনের চামড়ায় অ্যালার্জি বা এগজিমার মতো পরিবর্তন আসে। যেমন-লালচে ভাব, স্তনের চামড়া ও রঙে পরিবর্তন আসা, স্তনের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি।
কষ বা পুঁজ নিঃসরণ : স্তনবৃন্তের আশপাশে কোনো ক্ষত বা স্তনবৃন্ত থেকে যদি কষ বা পুঁজ বের হতে থাকে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কারণ এটা হতে পারে ক্যানসারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের উপসর্গ।
Leave a Reply