বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
মানবতার জীবন যাপন করছে লালমোহনের মুচিরা!

মানবতার জীবন যাপন করছে লালমোহনের মুচিরা!

ভোলা প্রতিবেদক ॥ করোনায় প্রভাব পড়েছে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী মুচিদের উপর। এদের মুচি বলে নিজেদের সম্মান নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। তবে করোনাকালে ভালো নেই তারা। দুই থেকে আড়াই শত টাকা উপার্জন করে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এরা। সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেনা বলেও জানান তারা। করোনাকালে মুচিদের জীবন যাপন নিয়ে কথা হয় লালমোহন পৌরশহরের ভূমি অফিস সংলগ্ন উকিন্দ, সঞ্জিব, বাবু লাল ও জীবনের সাথে। নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়ে তারা বলেন, করোনার আগে আমাদের দৈনিক আয় হতো পাঁচ থেকে ছয়শত টাকা। তখন সকাল ৮ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কাজ করতে পারতাম। তবে বর্তমানে দেশে করোনার কারণে প্রভাব পড়েছে আমাদের কাজে। সকাল ৮ টায় এসে ৪ টার মধ্যে
দোকান বন্ধ করে দিতে হয়।
এতে আয় হয় মাত্র দেড় থেকে দুইশত টাকা। এর মধ্যে নিজেদের খরচ হয়ে যায় প্রায় পঞ্চাশ-ষাট টাকা। বাকি যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে সংসার চলে না। এই সময়ে আমরা ভালো নেই। অন্যদিকে উর্পাজন কম হওয়ায় সন্তানদেরও ভালোভাবে পড়ালেখা করাতে পারছি না। তাই সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। তারা আরও বলেন, আমাদের খবর কেউ রাখে না। আমাদের একেক জনের এ পেশার বয়স ২৫-৩০ বছর করে। তবে আজ পর্যন্ত আমরা সরকারী কোনো সহায়তা পাইনি। তাই সরকারের কাছে দাবী আমাদের জন্য যেনো দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার ব্যবস্থা করে। তাহলে আমরা ভালোভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাচঁতে পারবো।
এব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বলেন, বর্তমানে মুচিদের জন্য সরকারী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতার একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। এক্ষেতে ভূক্তভোগী ব্যক্তির বয়স ৫০ হতে হবে। এছাড়াও এদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তারা আবেদন করলে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। সামনের দিকে যদি সরকারী অন্য কোনো সহায়তা আসে তাহলে তা এদের মাঝে সঠিকভাবে পৌছে দেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com