মঙ্গলবার, ২৩ Jul ২০২৪, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
ভয় দেখিয়ে বিএনপির প্রতিবাদ দমানো যাবে না : রিজভী

ভয় দেখিয়ে বিএনপির প্রতিবাদ দমানো যাবে না : রিজভী

বিএনপিকে ভয় দেখিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ থেকে বিরত রাখা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংসদে উত্থাপিত বিলের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে সরকারকে উদ্দেশ করে এই হুঁশিয়ারি দেন।

সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে বিদ্যুত-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করা যাবে না’ শীর্ষক ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যের আগ মুহূর্তে পুলিশের কর্মকর্তারা এসে অনুমতি ছাড়া মানববন্ধন কেনো করা হচ্ছে জানতে চান এবং বাধার সৃষ্টি করেন।

এ সময় রিজভী বলেন, আর কত ভয় দেখাবেন? আর কত বিরোধী দল, বিরোধী মতের ওপর নির্যাতন করে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে হুমকি দেখাবেন চাকরির জন্য। আর কতদিন? আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, জনগণ রুখে দাঁড়াবে। আমরা আমাদের কর্তব্য কর্ম থেকে বিচ্যুত হবো না।

উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামসুল হকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নতুন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম নকি ও দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক।

কয়েক মিনিটের বক্তব্যে রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। ত্রাণ দিতে গেছি, ত্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের ছায়া যখন নেমেছে এর উপরেও চলছে এই পরিস্থিতি। কথা বলা যাবে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ করা যাবে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে, এমন কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা জানি আমাদের বিরুদ্ধে আঘাত এসেছে, বছরের বছরের পর কারাগারে থেকেছি। কিন্তু তারপরও আমাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করা যায়নি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলে দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংসদ বিল পাস হওয়ায় প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘ভৌতিক বিল আসছে। অসহায় মধ্যবিত্ত মানুষ হাহাকার করছে। বলা হচ্ছে, চাহিদার চেয়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত বেশি উৎপাদন করা হয়েছে। তাহলে এই যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি উৎপাদন করা হয়েছে এর বেশিরভাগ রেন্টাল-কুইক রেন্টালের। অর্থাৎ এসব কেন্দ্রের ভাড়া দিতে হচ্ছে সরকারকে এবং বেশি দামে তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে সরকারকে। এই টাকা কে দিচ্ছে? এই টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়ে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তাহলে কিসের উন্নয়ন? শুধু জনগণের ওপর যাঁতাকল। জনগণকে পিষ্ট করা হবে আর মানিকগঞ্জে খাবার না পেয়ে বাচ্চা বিক্রি করছে মা। এই হচ্ছে পরিস্থিতি, এটা চলতে পারে না।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com