বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
আমতলীতে মহাসড়কে ড্রেনেজ নির্মাণ কাজে অনিয়ম, পানি নিস্কাশন বন্ধ

আমতলীতে মহাসড়কে ড্রেনেজ নির্মাণ কাজে অনিয়ম, পানি নিস্কাশন বন্ধ

আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরিগুনার আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তা বক্স কালভার্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পর্যন্ত তিন’শ ৭৩ মিটার ড্রেনেজ নির্মাণ কাজে অনিয়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাক্কলন অনুসারে কাজ না করায় পানি নিস্কাশন বন্ধ রয়েছে। ড্রেনেজে পানি জমে ভরে গেছে। পানি নিস্কাশন না হওয়ায় ময়না-আবর্জনায় ভরে পঁচা দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে। এতে দুর্ভোগে পরেছে ড্রেনেজের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। পঁচা দূর্গন্ধে এলাকায় বসবাস অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ বছর জানুয়ারী মাসে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তা বক্স কালভার্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পর্যন্ত তিন’শ ৭৩ মিটার ড্রেনেজ নির্মাণের দরপত্র আহবান করে। ওই ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ পায় মির্জাগঞ্জের ঠিকাদার বারেক মিয়া। এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মহাসড়কের দুই পাশে তিন’শ ৭৩ মিটার দৈঘ্য, তিন ফুট প্রস্ত ও তিন ফুট গভীর এ ড্রেনেজটি। ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ শুরুতেই তিনি প্রাক্কলন অনুসারে কাজ করেনি। দৈঘ্য-প্রস্ত ঠিক থাকলেও ড্রেনেজের গভীরতা ঠিক নেই। এছাড়াও নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তিনি কাজ করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় লোকজন কাজের শুরুতে ঠিকাদারের এ অনিয়মের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশন প্রকৌশলী মোঃ বেলায়েত হোসেনকে জানালেও তিনি কোন কর্নপাত করেনি। উল্টো তিনি তাদের সাথে খারাপ আচরন করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে ড্রেনেজ দিয়ে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা। ড্রেনেজের মধ্যে পানি ও ময়লা জমে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে ড্রেনেজের পাশে ব্যবসারত অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। দ্রুত এ ড্রেনেজ সংস্কার করা না হলে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশন প্রকৌশলী মোঃ বেলায়েত হোসেন ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে নি¤œমানের সামগ্রী ও প্রাক্কলন অনুসারে কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ড্রেনেজ দিয়ে পানি নামছে না। ড্রেনেজে পানি ও ময়লা আবর্জনায় ভরা। ড্রেনেজ থেকে পঁচা দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে। ড্রেনেজের দু’পাশের ব্যবসায়ীরা খুবই কষ্টে ব্যবসা প্রতিষ্টান চালাচ্ছেন। আমতলী চৌরাস্তার ফল ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, এটা ড্রেনেজ করা হয়নি, ময়লার বাগার করা হয়েছে। ড্রেনেজ দিয়ে কোন পানি নামছে না। পঁচা দুর্গন্ধে আমাদের টিকতে সমস্যা হচ্ছে। ড্রেনেজে পানিতে ভরে আছে। দ্রুত ড্রেনেজ সংস্কারের দাবী জানাই।
বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের যোগসাজসে প্রাক্কলন অনুসারে কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরিকল্পনা অনুসারে ড্রেনেজ না করায় পানি নিস্কাশন বন্ধ রয়েছে। ড্রেনেজ দিয়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। এখন পঁচা দূর্গন্ধে এলাকায় বসবাস করা কষ্টসাধ্য ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, এটাকে কোন ড্রেনেজ বলা যায় না। সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করেছে। এ ড্রেনেজ দিয়ে আমতলীবাসীর কোন কাজে আসবে না। ড্রেনেজ নির্মাণের অনিয়মের সাথে জড়িতদের দ্রুত শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ বারেক মিয়ার মুঠোফোনে (০১৭১৬ৃৃ.৩১) বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব ডিভিশন প্রকৌশলী মোঃ বেলায়েত হোসেন ড্রেনেজ নির্মাণের অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, ড্রেনেজ দিয়ে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না তা আমি সরেজমিনে পরির্দশন করে দেখেছি। ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেনেজ সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি সংস্কার না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com