শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫১ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল
বাবুনগরী-আনাস মাদানী বিরোধ, ভাঙছে হেফাজত!

বাবুনগরী-আনাস মাদানী বিরোধ, ভাঙছে হেফাজত!

সাত বছর আগে সরকারকে প্রচ- ঝাঁকুনি নিয়ে রাতারাতি প্রতিষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামে বাজছে ভাঙনের সুর। সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ও আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানির দ্বন্দ্বে সংগঠনটির ভেতরের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক পদ থেকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে অপসারণের পর থেকে দুই পক্ষ আলাদা অবস্থান নিয়েছে। বাবুনগরী ও আনাস মাদানী প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কথা বলছেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মজলিশে শূরার বৈঠকের মাধ্যমে যেভাবে জুনায়েদ বাবুনগরীকে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর (হাটহাজারী মাদ্রাসা) সহকারী পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তেমনিভাবে হেফাজতের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। আসতে পারেন নতুন মহাসচিব। এর মাধ্যমে শাপলা চত্বরে জমায়েতের ঘোষণা দিয়ে সৃষ্টি হওয়া হেফাজতে ইসলাম ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা।

ইতোমধ্যে নতুন সম্ভাব্য মহাসচিব হিসেবে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও হেফাজত অপর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহর নামও শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি জানতে চাইলে মুফতি ফয়জুল্লাহ ফোন রিসিভ করেননি। তবে মাওলানা সলিমুল্লাহ আমাদের সময়কে বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আলোচনা যতক্ষণ হবে না, ততক্ষণ এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। হেফাজতের নতুন মহাসচিব হিসেবে নাম আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুনিয়ার সবকিছুই পরিবর্তনশীল। তবে হেফাজতের মজলিশে শূরার বৈঠকই সব সিদ্ধান্ত নেবে। বৈঠক কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো দাওয়াত পাইনি। হালকা হালকা শুনছি বৈঠক হতে পারে।

জানা যায়, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী অসুস্থ হলে তড়িঘড়ি করে হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরীকে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক করা হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই পদে আসীন হয়ে আহমদ শফীর অনুপস্থিতিতে তার মাদ্রাসার শীর্ষপদে বসার পথ সুগম হয়। ফলে হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেও মধ্যে দ্রুতই বাবুনগরীর প্রভাব বাড়তে থাকে। এর পর গত ১৭ জুন তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসার মজলিশে শূরার বৈঠক ডেকে সহকারী পরিচালক পদ থেকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন সহকারী পরিচালক করা হয় মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস শেখ আহমদকে; যিনি দুই বছর আগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি ফটিকছড়ির নানুপুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। মূলত শফীপুত্র আনাস মাদানির চেষ্টায় শেখ আহমদ হাটহাজারী মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে আসেন।

সহকারী পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ফুঁসে ওঠেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি তখন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সহকারী পদ থেকে তিনি সরতে চাননি। তার অনিচ্ছায়ই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি হেফাজত ও মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললে এর প্রতিবাদে কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক ও শফীপুত্র আনাস মাদানি। একপর্যায়ে তিনি জুনায়েদ বাবুনগরীকে জামায়াতে ইসলামের এজেন্ট বলেও দাবি করে বলেন, বাবুনগরীর কারণে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা মার খেয়েছেন।

আনাস মাদানীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আজকে যারা সরকারের পক্ষ নিয়েছেন, তারাই শাপলা চত্বরের সরকারবিরোধী জমায়েত করেছিলেন। বাবুনগরী দাবি করেন, হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জ্ঞাতসারেই সরকারবিরোধী সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।

হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সংগঠনটির মহাসচিব হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী আওয়ামীবিরোধী অবস্থান নেন। প্রকাশ্যে ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন বলে দাবি করলেও বাবুনগরী ছিলেন প্রচ-ভাবে আওয়ামী লীগবিরোধী। শাপলা চত্বরের জমায়েতের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে হাটহাজারী পার্বতীপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠের এক সমাবেশে বাবুনগরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাস্তিক আখ্যা দেন। এ ধরনের বক্তব্যের কারণে তিনি সরকারের শ্যেন দৃষ্টিতে ছিলেন। ফলে শাপলা চত্বরের জমায়েত বানচাল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধরপাকড় শুরু করলে জুনায়েদ বাবুনগরীও গ্রেপ্তার হন।

জানা গেছে, সম্ভাব্য মজলিশে শূরার বৈঠকের মাধ্যমে জুনায়েদ বাবুনগরীকে বাদ দিয়ে সেখানে আনাস মাদানীর ঘনিষ্ঠ কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এর মাধ্যমে হেফাজত থেকে বাবুনগরীর অনুসারী বেশিরভাগ নেতাই বাদ পড়তে পারেন। বাবুনগরীর অনুসারীরা এখনো ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে অটল আছেন। কিন্তু হেফাজতের আমিরের অনুসারীদের এ নিয়ে আর কথা বলতে শোনা যায় না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com