বেলাগাম সংক্রমণ গোটা ভারতজুড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে ২২ হাজার ৭৫২ জন নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৮২ জনের। গোটা ভারতে বুধবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪১৭ জনে পৌঁছেছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬৪২ জনের।
লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন। একদিকে যেমন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে সুস্থও হচ্ছেন অনেকে। বুধবার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গোটা ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩১ জন। এই মুহূর্তে করোনায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৪ জন।
মহারাষ্ট্রেই ভারতের মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১৭ হাজার ১২১ জনে পৌঁছেছে। এ রাজ্যে করোনায় মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ২৫০ জন।
পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম দশা প্রশাসনের। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের বিপুল চাপ সামলাতে নাজেহাল স্বাস্থ্যকর্মীরা। একাধিক হাসপাতালে গায়ে গা ঘেঁষে বেড থাকায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যেও মাত্রাছাড়া সংক্রমণ পরিলক্ষিত হয়। এখন পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৯৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬৩৬ জন।
তামিলনাড়ুর পরেই সংক্রমণের নিরিখে ভারতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। লাগামছাড়া সংক্রমণে ঘুম ছুটেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের। দিল্লিতে বুধবার সকাল পর্যন্ত নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮৩১ জন। রাজধানীতে করোনায় মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ১৬৫ জন।
একইভাবে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন আরও কড়া করা হয়েছে। ওই এলাকাগুলি থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে ঢোকা ও বেরনোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে নয়া আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে যেমন ঘরের মধ্যে বা জনবহুল কোনও এলাকায় বাতাসের মাধ্যমেও এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে। ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
Leave a Reply