শুক্রবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ছয় বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় হাজারো জনতার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত সান্টু  বাকেরগঞ্জের সাংবাদিক হাবিবের উপরেহামলাকারী মামলার এজাহারভুক্ত আসামি , শফিকুল ইসলাম রিপন শ্রী ঘরে , গৌরনদীতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির সমাবেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে গৌরনদীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মেয়ের অসুস্থতার খবরে একদিন আগেই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী মেসির ১, আর্জেন্টিনার ২ : কোপার ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ফ্রান্সকে বিদায় করে ইউরোর ফাইনালে স্পেন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ২৯ হজে গিয়ে ৬৩ বাংলাদেশির মৃত্যু
প্রাণ দিয়েও বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে পারল না সোহাগ

প্রাণ দিয়েও বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে পারল না সোহাগ

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। এরই একপর্যায়ে স্ত্রীকে ধারাল বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন হারেজ মিয়া। এ সময় মাকে বাঁচাতে ছুটে যায় ছেলে সোহাগ মিয়া (১৫)। তাকেও উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন বাবা। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সোহাগ। কিন্তু নিজের জীবন দিয়েও মাকে বাঁচাতে পারল না সে। ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পর নিহত হন গর্ভধারণী। এ ছাড়া ধস্তাধস্তিতে আহত হন হারেজ মিয়াও। নির্মম এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার রাত ২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেউদ্দার বাজার এলাকায়।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, স্বামী বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্ত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকালে মারা যান। তার লাশ ঢামেক মর্গে আছে। আর সোহাগের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে আছে। অন্যদিকে মেয়েটিকে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় রাখা হয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও থানা ও গ্রামের নাম জানা যায়নি। ওসি আরও জানান, ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রতিবেশীরা জানায়, রিকশাচালক হারেজ মিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী হোসিয়ারি শ্রমিক মনোয়ারা বেগম (৪০); তাদের ছেলে গার্মেন্টশ্রমিক সোহাগ ও মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী বিথি আক্তার (১৩) ওই এলাকার শাহ আলম মিয়ার টিনশেড বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে হারেজ তার স্ত্রীকে ধারাল বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় মাকে রক্ষায় ছেলে সোহাগ এগিয়ে গেলে হারেজ তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সোহাগ। ওই সময় মেয়ে বিথি ঘুমিয়ে ছিল। পরে চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

বাড়ির মালিক শাহ্ আলম মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, তারা নিজে এই বাড়িতে থাকেন না। তাদের পাঁচটি ঘরে তিনজন ভাড়াটিয়া থাকেন। একটি ঘরে পরিবার নিয়ে থাকতেন হারেজ। রাতে বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ভাড়াটিয়া পান্না মারফত ঘটনার খবর পেয়ে ভোরে তিনি এখানে আসেন।

পান্না নামে ওই ভাড়াটিয়া বলেন, আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। তারা ঘরে কী করছে না করছে তা আলাপ পাই নাই। রাত আড়াইটার দিকে তাদের মেয়ে বিথি চিৎকার দিয়ে আমায় ডেকে বলে, ‘আব্বায় মা আর ভাইরে জবাই কইরা মাইরা ফেলছে’। এ কথা শুনে আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি, মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের বাইরে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। ছেলে আর বাবা ভেতরে পড়ে ছিল। পরে পুলিশকে খবর দেই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com