শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
‘মৃত্যু তুমি আমাকে কষ্ট দিয়ো না’ লিখে নারীর আত্মহত্যা

‘মৃত্যু তুমি আমাকে কষ্ট দিয়ো না’ লিখে নারীর আত্মহত্যা

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম পদ্মা সেতু প্রকল্পে পাথর সরবরাহ করতেন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি সেফটি পাথর ১৯০ টাকায় কিনে পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করতেন ১৭০ টাকায়। তার মানে সেফটিপ্রতি সাহেদের লোকসান ২০ টাকা! কিন্তু প্রতারক সাহেদ ‘লোকসান’ করেই হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। কেননা সাহেদ যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাথর কিনতেন তাদের টাকা পরিশোধ করতেন না। প্রথমে সামান্য কিছু টাকা দিলেও পরে পুরোটাই আটকে দেন। উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে পাথর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের মুখ বন্ধ করে রাখেন। অবশেষে র‌্যাবের অভিযানের পর মুখ খুলেছেন ওই ব্যবসায়ী। নিজের পাওনা টাকা ফেরত চান এখন। সেই সঙ্গে প্রতারক সাহেদের বিচার চান।

এদিকে সাহেদকে নিয়ে সারাদেশেই তোলপাড়। প্রতিদিনই বের হচ্ছে তার প্রতারণার নতুন নতুন দিক। প্রকাশ্যে আসছেন অনেক ভুক্তভোগীই। নির্যাতনের ভয়ে যারা সাহেদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনি তারাও এখন মুখ খুলছেন। সাহেদকে ধরতে মরিয়া র‌্যাব-পুলিশও। তবে ঘটনার পাঁচ দিন পার হলে গতকাল পর্যন্ত তার টিকিটুকুরও খোঁজ মেলেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার এড়িয়ে গোপনে আদালত থেকে জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছে সাহেদ। তবে জামিন না পেলে আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে পারেন। কিন্তু তার এই চাওয়া ভেস্তে দিয়ে হাতে হাতকড়া পরাতে চায় র‌্যাব-পুলিশের একাধিক টিম। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে থাকা সাহেদের সহযোগীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, সাহেদ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে দেশত্যাগ করতে পারে; তা মাথায় রেখে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে যুক্ত একাধিক কর্মকর্তা জানান, করোনার কারণে মানুষ মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন। সাহেদ নিজেকে আড়াল করতে ছদ্মবেশ ধারণ করতে মাস্ক পরলে তাকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাবে। অবশ্য এক্ষেত্রে তাকে গ্রেপ্তারে আধুনিক প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম আমাদের সময়কে বলেন, ‘তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের কার্যক্রম থেমে নেই। যে কোনো সময় ভালো খবর দিতে পারি।’

গত সোমবার রাজধানীর উত্তরার কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনাকালে উঠে আসে সাহেদের ওই হাসপাতালের অনিয়মের ভয়াবহ সব তথ্য। পরীক্ষা না করেই দেওয়া হতো করোনা পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ রিপোর্ট। পরে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। এ ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও গা ঢাকা দেয় মালিক মো. সাহেদ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com