মঙ্গলবার, ২৩ Jul ২০২৪, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
জীবনেও অনৈতিক কাজ করিনি, কাঁদতে কাঁদতে ডা. সাবরিনা

জীবনেও অনৈতিক কাজ করিনি, কাঁদতে কাঁদতে ডা. সাবরিনা

করোনাভাইরাসের ভুয়া প্রতিবেদন কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হওয়া জেকেজি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেকেজির অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ। তিনি আরও দাবি করেন, আরিফের সঙ্গে তিনি আর সংসার করছেন না।

আজ রোববার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে গণমাধ্যমে সাবরিনা দাবি করেন, ‘জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরী এ মুহূর্তে আমার স্বামী না। আমরা আলাদা থাকছি। ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি। আরও দুই মাস লাগবে ডিভোর্স কার্যকর হতে।’

ডা. সাবরীনার বক্তব্য জানতে তার কর্মস্থল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে গেলে তিনি প্রথমে হাসপাতালের পরিচালকের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে সাবরীনা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি জেকেজি হাসপাতালের চেয়ারম্যান নই। আপনারা আগে কাগজ দেখান, তারপর আমার ব্যাখ্যা চান। এছাড়া, লক্ষবার প্রশ্ন করলেও আমি কোনো উত্তর দিব না।’

পরে তিনি আবার দাবি করেন, ‘জয়েন্ট স্টকে আপনারা খবর নেন। আমি কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান নই। আমি জেকেজির স্বাস্থ্যকর্মীদের আমি ট্রেনিং দিতাম। আমি শুধুর ট্রেনিং সেন্টার পর্যন্ত যেতাম।’

হাসপাতালের সাইবোর্ডে তার নামের শেষে এখনও জেকেজি হাসপাতালের গ্রেপ্তারকৃত প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী নামের শেষাংশ যুক্ত আছে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমনও তো হতে পারে এটা আমার আসল নাম না। ফেসবুকীয় নাম। এটা এখনও পরিবর্তন করা হয়নি। দ্রুতই করব।’

এক পর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে সাবরীনা বলেন, ‘কোনো কিছুর মালিক না হয়ে এতটা…. আমি শিকার হচ্ছি, এটা কী মনে করেন আপনারা এবং আমি জানি, আমি কোনো অনৈতিক কাজ আজকে কেনো জীবনেও করিনি। আমি এ বিষয়ে কনফিডেন্ট।’

এর আগে আজ দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার রিমান্ড চাওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা জেকেজি গ্রুপের হিমু ও তার ওয়াইফ তানজিনাকে গ্রেপ্তার করার পর তারা জানায় বাড়িতে গিয়ে তারা স্যাম্পল কালেকশন করেন। তানজিনা একজন নার্স হওয়ায় সে দিনের বেলায় স্যাম্পল কালেকশন করে আর পরবর্তীতে সেগুলো ফেলে দেয়। হিমু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ায় সে সার্টিফিকেট বানিয়ে সরবরাহ করে। এগুলোর জন্য তারা পাঁচ হাজার টাকা ফি নেয় এবং বিদেশি হলে ১০০ ডলার ফি নেয়। হিমু ও তানজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এগুলোর সাথে জেকেজি গ্রুপ জড়িত বলে তথ্য দেয়। তারপর জেকেজির সিইও আরিফুল হকসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর তাদের থেকে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা সম্বন্ধে তথ্য পাওয়া যায়।’

পুলিশ জানিয়েছে, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এসবের প্রমাণ মিলেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com