করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত রোজার ঈদে মানুষকে নিজ নিজ আবাসেই থাকতে বলেছিল সরকার। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতেও আরোপ করা হয় কড়াকড়ি। এমনকি করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে গ্রামে না যেতে অলিখিত নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। কিন্তু মানুষ কোনো নিষেধাজ্ঞাই মানেনি। পণ্যবাহী গাড়ির ছাদে, মাছের ড্রামে, রডবাহী ট্রাকে চড়ে দলে দলে গ্রামে যেতে থাকে। ফেরিগুলোয় ছিল মানুষের ঢল। এতে করোনা ভাইরাস ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, শহর, উপশহর ও গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের পর সংক্রমণ চিত্রে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানলে এই মাসের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করবে। কিন্তু সামনের দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির বড় কারণ হতে পারে ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক মানুষের অবস্থানের স্থানান্তর, কোরবানি পশু ক্রয় ও জবাইকরণ, গোশত বিতরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। এর ফলে করোনার সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা থেকে যায়।
রোজার ঈদে লঞ্চ, বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সংক্রমণের সার্বিক চিত্র ততটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল না। কিন্তু এখন সংক্রমণচিত্র গত ঈদের আগের তুলনায় ভয়াবহ। সে কারণে ঈদযাত্রা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের ভাষায়, ঈদুল আজহায় এই ৪ জেলা থেকে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাংলাদেশকে কঠিন মূল্য দিতে হতে পারে। সংক্রমণ কমার পরিবর্তে ভয়াবহর রূপ নিতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে ঈদযাত্রা তাদের কাছে বড় ভয় জাগাচ্ছে।
কোরবানির ঈদকে ঘিরে করোনা সংক্রমণের জন্য বড় ভয় রয়েছে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৬৬। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭০৯ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানানো হয়। ঈদ উপলক্ষে বিপুল মানুষ পরস্পরের সংস্পর্শে আসবে। ঈদযাত্রায়ও পারস্পরিক সাহচর্যে যাবে। এ অবস্থায় গণপরিবহন বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ পরামর্শকে আমলে নিয়ে প্রথমে গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সে সিদ্ধান্ত বদল করে গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অবাধ সুযোগ পেলে এবারের ঈদযাত্রায় অন্তত ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারে। গত ঈদে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িতে যেতে পারেননি নগরবাসী। তথাপি ফেরিতে, রিজার্ভ বাহনে চড়ে ঢাকা ছাড়েন। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সে সময় ফেরিতে গাদাগাদি করে চলাচলের দৃশ্য দেখে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার উপচেপড়া ভিড় থাকবে। কঠিন হয়ে যাবে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা। করোনার লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সংক্রমণ উচ্চমাত্রায় পৌঁছে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
অবশ্য এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেছেন, গণপরিবহন বন্ধের সুপারিশ ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আসন্ন ঈদে জনসমাগম যে কোনো মূল্যে এড়িয়ে চলতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্তের অপব্যবহার না করতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল আরও বলেন, ঈদযাত্রায় প্রত্যেককে নিজের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। পশুহাট-লঞ্চ-বাস-ট্রেন স্টেশন-ফেরিঘাট-শপিংমলসহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। মাস্ক পরিধান অবশ্যই করতে হবে।
এ নিয়ে পরিবহনকর্মীরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের জন্য দেওয়া সরকারি নির্দেশনা বাস্তবে মানা কঠিন। সরকারের সিদ্ধান্তের অপব্যবহার না করতে পরিবহন মালিকদের প্রতি সড়কমন্ত্রীর আহ্বান কতটা বাস্তবে প্রতিফলন ঘটবে তা-ও দেখার বিষয়।
গত রোজার ঈদে মানুষকে ঢাকা ছাড়তে নিষেধ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। তবু ফেরিতে মানুষের ঢল দেখে সচেতন মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান করোনা সংক্রমণ নিয়ে। পণ্যবাহী গাড়ির ছাদে চড়ে, ড্রামের ভেতরে বসে যাওয়ার দৃশ্য এখনো ভেসে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, রডবাহী ট্রাকে চড়তে গিয়ে ১৬ জনের একসঙ্গে নিহতের ঘটনাও ঘটে।
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা গণপরিবহন চলাচলের বিধিতে ১১টি নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম এক আসন করে ফাঁকা রাখা। তবে পরিবারের সদস্য হলে পাশাপাশি আসনে চড়ার অনুমতি আছে। ঈদযাত্রায় এ নির্দেশনা কতটুকু মানা সম্ভব এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ পরিবহনকর্মীরা। একই পরিবারের সদস্য কিনা তা যাচাই করার সুযোগের অভাব রয়েছে। আবার এ অজুহাতে পাশাপাশি আসনে যে কাউকে বসিয়ে নিতে পারবে পরিবহনকর্মীরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সামাজিক সুরক্ষা বিবেচনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে পাশাপাশি আসনে বাড়তি ভাড়ায় ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পরিবহনের শঙ্কা প্রকাশ করছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় করোনা ঝুঁকি বাড়তে পারে। গত ঈদে যেতে না পারার কারণে যাত্রী বাড়তে পারে। আর পরিবার একত্রে বসার সুযোগের অপব্যবহারও হতে পারে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবি, ঈদে বাস, ট্রেন ও লঞ্চ মিলে ৯০ লাখ যাত্রী চলাচল করে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও গত ঈদে অন্তত ১০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। এবার ঈদুল আজহায়ও অন্তত ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারে বলে মনে করছে সংগঠনটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের এনফোর্সমেন্টের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কমন্ত্রীর ‘আহ্বান’ গণপরিবহনের যাতায়াতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন। বাসের মতো একই অবস্থা লঞ্চেও। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি রুটে চলাচল করে এই বাহনটি। লঞ্চের ডেকে চড়ে যাতায়াতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। যদিও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের বিধান অনুযায়ী লঞ্চে বসার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকার কথা। এবার অবশ্য ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের অতিরিক্ত চিন্তা কম। বর্তমানে কিছু রুটে সীমিত সংখ্যক ট্রেন চলছে সেগুলোই যাত্রী পরিবহন করবে। গতকাল রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ঈদের আগে ট্রেন বাড়ানোর সুযোগ নেই। এখন যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে, সেভাবেই ট্রেন চলবে।
জেনে রাখা ভালো, গত ১০ জুলাই করোনার সংক্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সংক্রমণের বিস্তার রোধে ঈদের ছুটিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম থেকে অন্যান্য স্থানে যাতায়াত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিল। তা ছাড়া পশুর হাটেও গমনকারীদের মাস্ক ব্যবহারসহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে হাট না বসাতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র, তথ্য, স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়। তা ছাড়া এই চার জেলায় মানুষকে অন্য জেলায় যাতায়াতের সুযোগ না দিতেও অভিমত আসে। এর পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঈদের আগে পরে ৯ দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করতে গত মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চিঠি দেয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কিন্তু পরদিন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছ থেকে বার্তা আসে সিদ্ধান্ত বদলের। ঈদে শর্তসাপেক্ষ গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। তবে অন্য বছরের মতো বন্ধ রাখা হবে পণ্যবাহী যান।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২৫ মার্চ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করা হয়। ৬৮ দিন পর ১ জুন থেকে ফের বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী যান অর্ধেক আসন খালি রেখে চলছে। ঈদুল ফিতরের সময় বাস, ট্রেনসহ সব যাত্রীবাহী যান বন্ধ থাকে। তবে গত মঙ্গলবার সহকারী সচিব জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরে বিআরটিএ চেয়ারম্যানকে পাঠানো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আসন্ন ঈদুল আজহার সময় জনগণের যাতায়াত সীমাবদ্ধ করার নিমিত্তে ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগে থেকে তিন দিন পর পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন/আদেশ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ এর পর গণপরিবহন রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার তথ্য দেন সড়কমন্ত্রী।
কেবল গণপরিবহন নয়, করোনা সংক্রমণে পশুর হাট বড় অনুষঙ্গ। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আমাদের বিপুলসংখ্যক মানুষের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসা হয়ে থাকে। এবার কোরবানির বিষয় আছে। এখানে কোটি ২০ লাখ পশু আছে। সেই পশুগুলো গ্রামাঞ্চলের হাট থেকে শুরু করে শহরের হাটগুলোয় বিক্রি হয়ে থাকে। একটি পশু বিক্রির সাথে দুজন করে মানুষ থাকলেও আড়াই কোটি মানুষ এর সাথে যুক্ত হয়। আবার যারা কিনতে যান তারা একটি গরু কিনতে কয়েক জন হাটে যান। সেখানেও ৩-৪ কোটি মানুষের সম্পৃক্ততা থাকে। এর পর আছে জবাই করা। জবাই কাজ যেমন একটু উৎসবের মতো হয়, সেখানে অনেক মানুষ একসঙ্গে হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর পর রয়েছে পশুর গোস্ত বিতরণ। সংগ্রহ করতেও সৃষ্টি হবে মানুষের সমাগম। আবার এই ঈদে মানুষ তুলনামূলক বেশি বাড়িতে যায়। সব মিলিয়ে বিশাল জনসমাগম ঘটে থাকে। সে কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, ঈদকে ঘিরে কিছু পদক্ষেপ নিলে ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। যেমন জনসমাগম এড়াতে হাটে না গিয়ে কোরবানির পশু কেনার ব্যবস্থা করা। এর পাশাপাশি জনসমাগম কমাতে একদিনে না করে তিন দিনব্যাপী কোরবানির ব্যবস্থা করা। সরকার এই পরিকল্পনা করবে এবং পরিকল্পনার সাথে মানুষ সম্পৃক্ত হবে। এই কাজের সাথে যদি স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা যুক্ত হয় তা হলে সংক্রমণ কিছুটা কমানো যেতে পারে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় গৃহীত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের লক্ষ্য সরকার গঠিত আট সদস্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটি এপিডেমিওলজিক্যাল ফর্মুলার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কী হতে পারে তার প্রক্ষেপণ তৈরি করে গত ২৩ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাখিল করে। সে অনুযায়ী চলতি মাসের তৃতীয়-চতুর্থ সপ্তাহ থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করতে পারে। তবে এটি নির্ভর করবে যেসব স্বাস্থ্যবিধির মানার কথা বলা হচ্ছে মানুষ সেটা কতটা পালন করছে তার ওপর। আবার আসন্ন ঈদে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা না হলে সংক্রমণ উল্টো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ডা. এজেএম ফয়সাল বলেন, করোনা সংক্রমণ এখন পিকে অবস্থান করছে। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করবে। আর স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। করোনার সংক্রমণের ক্ষেত্রে বর্তমান সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সময় যাচ্ছে এই সময় আমাদের সংক্রমণ প্রতিরোধে যেসব জিনিস করার কথা ছিল (যেমনÑ মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রাখা) এগুলো যদি ঠিকমতো করতে পারি তা হলে এই সমান্তরাল অবস্থায় বজায় রাখতে পারব এবং আস্তে আস্তে কমতির দিকে যেতে পারব। তবে আসন্ন ঈদের সময় জনসমাগম বেশি হয়। এটি যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায় তা হলে সংক্রমণ বাড়তে থাকবে।
Leave a Reply