বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
বরিশালে কফিন বিক্রির আড়ালে গাঁজা ব্যবসা!

বরিশালে কফিন বিক্রির আড়ালে গাঁজা ব্যবসা!

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেহ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয় রোগীর জন্য কিনে আনা কফিনের মধ্য থেকে গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে কফিনের মধ্যে কাগজে মোড়ানো ২১ পুড়িয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, করোনা ওয়ার্ডে মারা যাওয়া ব্যাক্তির ছেলে সোহাগ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কফিনের মধ্যে গাঁজা দেখতে পাওয়ার তথ্য জানালে এসআই মিজান তা উদ্ধার করে। এসআই মিজান জানিয়েছেন, বরিশালে কর্মরত এক সাংবাদিক থানায় জানিয়েছেন এবং ৯৯৯-এ কল পেয়ে আমরা গিয়ে কফিনের মধ্যে থেকে গাঁজা উদ্ধার করেছি। গাঁজার মালিক কে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে যার দোকান থেকে কফিন ক্রয় করা হয়েছে, যিনি ক্রয় করেছেন তাদের সাথে কথা বলেছি। তাছাড়া ওই রাতেই উপস্থিত লোকজেনর বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। মিজানুর রহমান বলেন, এখনো তদন্ত করে দেখছি; আসল ঘটনাটি কি ছিল? তবে এখনো এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানান তিনি। জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৯ নং সাপলেজা ইনিয়নের তুলাতলা গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আব্দুল হালিম হৃদরোগে আক্রান্ত হলে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আব্দুল হালিমের ছেলে সোহাগ জানিয়েছেন, ভর্তির পর তার শরীরে জ্বর অনুভব হলে তাকে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। সেখানে নিয়ে গেলে কিছু পরীক্ষা করাতে দেন। আমি বাইরে পরীক্ষা করাতে না পারায় শনিবার হাসপাতালে সেইসব পরীক্ষা করাই। কিন্তু আব্বা শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বেশি অসুস্থ হয়ে পরেন। রাত আড়াইটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যেহেতু তিনি করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেছেন সেকারনে তাকে কফিনে করে নিতে হবে বলে ওয়ার্ড থেকে জানানো হয়। তখন ওই ওয়ার্ডে কর্মরত আবুল খায়ের নামে একজন জানান তিনি কফিন এনে দিতে পারবেন। তার চাহিদা মত আড়াই হাজার টাকা দিয়ে দিলে রাত তিনটার দিকে তিনি কফিন নিয়ে আসেন। আমার মা ও আমি আব্বার লাশ নিয়ে নিচে নেমে কফিনে রাখতে গিয়ে দেখি কফিনের মধ্যে কাগজের একটি পোটলা পরে আছে। আবুল খায়ের, এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার লিটনসহ উপস্থিত সবার সামনে বসে সেই পোটলা খুলে দেখি তাতে গাঁজা রয়েছে।
সোহাগ বলেন, আমি দ্রুত আমার ফুফাতো ভাই এক সাংবাদিককে বিষয়টি জানাই এবং ৯৯৯ নম্বরে কল করি। পরে পুলিশ এসে গাঁজা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আমরা লিটনের এ্যাম্বুলেন্সে করে মঠবাড়িয়া এসে রবিবার দুপুরে আব্বার দাফন দেই। এ বিষয়ে কথা হয় কফিন বিক্রেতা বাদশার সাথে। তিনি জানান, পুলিশ জানিয়েছে আমার বিক্রি করা কফিনের মধ্য থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে কফিনের মধ্যে গাঁজা এলা তা বলতে পারছি না। কফিনতো তৈরীর পর লোহা মেরে আটকে রাখা হয়। এই কফিন বিক্রেতা দাবী করেন, কফিনের মধ্যে তিনি গাঁজা রাখেননি। তবে তার দোকানের মধ্যে রাখা কফিনে গাঁজা আসলো কিভাবে তারও কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না। বাদশা বলেন, আমার মনে হয় চাঁনমারি বস্তির গাঁজা ব্যবসায়ীরা হয়তো আত্মরক্ষার্থে কফিনের মধ্যে এসে রেখেছে। নয়তো যে ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ লোক পাঠিয়ে কফিন খায়েরের মাধ্যমে নিয়েছে তারা বিষয়টি জানতে পারে। এ বিষয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকের কলেজ হাসপাতালের নাইট গার্ড আবুল খায়ের বলেন, আমি কফিন আনতেও যাইনি। মূলত ওই ছেলের আব্বা মারা য্ওায়ার পর তারা আমার কাছে জানতে চায় কফিন কোথায় পাওয়া যাবে? আমি কফিনের বিষয়টি ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদের কাছে বললে তিনি কফিনের দোকানদান বাদশার কাছে মোবাইল করেন। বাদশা কফিন পাঠিয়ে দেন। আমি ওইসব বিষয়ে কিছু জানি না।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, গাঁজা উদ্ধারের খবর আমি শুনেছি। বিষয়টি রহস্যজনক। আমার মনে হয় কফিন ব্যবসায় জড়িতদের কেউ এসব করে থাকে। নয়তো কফিনের মধ্যে গাঁজা আসবে কোথা থেকে সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। জাকির হোসেন বলেন, যার বাবা মারা গেছে সেতো কফিনের সাথে গাঁজা নিয়ে রওয়ানা হবেন না। সে যদি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খারাপ মানুষও হয়, যখন কারও মা-বাবা মারা যায় তখন তিনি এসব কাজ করেন না। আবার এ্যাম্বুলেন্সের সাথে জড়িতরা যদি সম্পৃক্ত থাকতো তাহলে পুলিশের হাতে আগেও আটক হতো। তার দাবী, কফিন ব্যবসার আড়ালে অন্য কিছু হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা উচিত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com