শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে টার্গেট করা হয় কাউন্সিলরকে

ভার্চুয়াল মিটিংয়ে টার্গেট করা হয় কাউন্সিলরকে

রাজধানীর পল্লবীতে অস্ত্রসহ ৩ যুবক গ্রেপ্তারের পর নাটকীয়ভাবে থানা কম্পাউন্ডে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী থানা যুবলীগের সভাপতি মো. তাইজুল ইসলাম বাপ্পী (৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর) ও সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) জুয়েল রানাকে খুন করার জন্য ভাড়ায় খাটছিলেন গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন। তারা তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুরের মামুন-জামিলের অন্যতম ক্যাডার।

দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যা করতে শুধু এই গ্রুপই নয়, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থানকারী শাহাদাত ও ইব্রাহীম, কারান্তরীণ কিলার আব্বাসসহ ঢাকা (সাভার ও গাজীপুরের ৪টি গ্রুপ) ও ঢাকার বাইরের (সিরাজগঞ্জের একটি গ্রুপ) ৯ গ্রুপের অস্ত্রধারী কিলার সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রশ্ন উঠেছে, দুজনকে হত্যায় কেন এত বড় আয়োজন। আর কেনইবা এত সন্ত্রাসী ভাড়া করা হলো?

এ বিষয়ে জানা গেছে, মিরপুরের রাজনৈতিক ও চাঁদাবাজকেন্দ্রিক আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ে মিরপুর, কাফরুল ও রূপনগরের ৫ প্রভাবশালী ব্যক্তি। পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ২০ দিন আগে তৈরি করা হয় হত্যা মিশনের ছক। এই খুন বাস্তবায়নে ইন্টারনেটে ভার্চুয়াল মিটিং ডাকা হয়। এতে অংশ নেয় ওই ৯ সন্ত্রাসী গ্রুপ। দুই খুনের বিপরীতে নির্ধারণ করা হয় ৫ কোটি টাকা। তবে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়- অগ্রিম টাকা দেওয়া হবে না। যে গ্রুপ এই কিলিং মিশন সফল করবে শুধু তারাই পাবে এই অর্থ। এর পরই মরিয়া হয়ে মাঠে নামে ওই ৯ গ্রুপের শতাধিক অস্ত্রধারী ক্যাডার। খুনের এই পরিকল্পনার মধ্যস্থতা করেন জনৈক লাক্কু।

এদিকে কিলিং মিশনের বিষয়ে জানা গেছে, এক ব্যক্তি পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ১৫ দিন আগে কিলিং মিশনের পরিকল্পনার খবর ফাঁস করে দেন কাউন্সিলর বাপ্পীর কাছে। এর পর প্রাণ বাঁচাতে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। বিষয়টি জানান পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসিসহ র‌্যাব-ডিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। এর পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় ব্লক রেইড। গত ‘বুধবার ভোরে’ পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের আগের রাতে মিরপুরের কালশী কবরস্থান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুন-জামিল গ্রুপের রফিকুল, শহিদুল ও মোশাররফকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও ওজন মাপার যন্ত্রের মতো একটি ডিভাইস।

জঙ্গি হামলার শঙ্কা নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সতর্কবার্তার ১০ দিনের মাথায় পল্লবী থানার মধ্যে ওজন মাপা যন্ত্রের মতো ওই বোমা বা আইইডিই বিস্ফোরিত হয়ে আহত হন চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন। একই দিনগত গভীর রাতে পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় র‌্যাব ৪-এর একটি টিমের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় দুই যুবলীগ নেতার কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া মহসিন ওরফে কিলার মহসিন (৮টি হত্যা ও ১৩টি মাদক মামলার আসামি)। তিনি শাহাদাত বাহিনীর অন্যতম সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সহস্রাধিক ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে র‌্যাব। পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নেপথ্যের কারিগর মিরপুর, কাফরুল ও রূপনগরের ৫ প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি তারা।

জানা গেছে, পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ১৬ ঘণ্টা পর কাউন্সিলর বাপ্পির সেলফোনে কল দেয় ভারতে বসে মিরপুরের অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ডানহাতখ্যাত ক্যাশিয়ার বাবু ওরফে ডেসপারেট বাবু। তাদের ফোনালাপের সূত্রে একে একে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কাউন্সিলর বাপ্পী ও বাবুর কথোপকথনে অনেকটাই পরিষ্কার- রাজনৈতিক ও চাঁদাবাজকেন্দ্রিক আধিপত্যের দ্বন্দ্বে যুবলীগ নেতা বাপ্পী ও জুয়েল রানাকে (গত ২৬ জুলাই পল্লবী থানা এলাকায় মাস্ক পরতে বলায় পিস্তল দেখিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের এক সার্জেন্টকে পিটিয়ে বর্তমানে পলাতক) হত্যার পরিকল্পনা করে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা, যা জানতেন ডেসপারেট বাবু। বিষয়টি কাউন্সিলর বাপ্পী পুলিশের মিরপুর বিভাগের ডিসির কাছে জানিয়েছেন। সরবরাহ করেছেন সেই অডিও ক্লিপ। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহেও অধরা বাবু।

নির্ভরযোগ্য ও তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের মাধ্যমে অডিও ক্লিপ এবং হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরও বেশকিছু তথ্য মিলেছে আমাদের সময়ের অনুসন্ধানে।

গত ২৯ জুলাই রাতে রেকর্ড করা বাপ্পী ও বাবুর ফোনালাপ

বাপ্পী- বল, কী হইছে?

বাবু- শুনেন, এইটা মামুন (শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন ওরফে মফিজুর রহমান) ভাই কিচ্ছু জানে না। আমারে সে পঞ্চাশবার একটা কথা বলছে- বাবু, তুমি ওরে (বাপ্পী) বইলো, আমার ওপর যেন কোনো কষ্ট না রাখে। যা করছে, জামিল (মামুনের ভাই শীর্ষসন্ত্রাসী মজিবর রহমান জামিল, বর্তমান নেপালে অবস্থান করছেন) কু..বা..।

বাপ্পী- আচ্ছা, আমারে মাইরা ওর (জামিল) লাভটা কী?

বাবু- আমি নিজেও অবাক হয়ে গেছি জানেন, আপনারে নিয়া এত বড় প্লানিং হইছে, আমার নলেজ ছাড়া! মানে আমার নিজের কাছেও অবাক লাইগা গেছে, বিশ্বাস করবেন?

বাপ্পী- কারণডা কী? আমি কারণডা জানতে চাইছি, কী হইছে?

বাবু- আপনি টাকা পাঠাইছেন না ভাই, অর্ধেক টাকা কিন্তু হের (জামিল) লাইগা মামুন ভাই নিজে পাঠায় দিছে। আর বলছে, দেখেন- আপনি কোনো জায়গায় কোনো রকম সাউন্ড কইরেন না।

বাপ্পী- আমি তো এক লাখ টাকা দিলাম, যেন ওরা আমার কোনো ক্ষতি না করে। কিন্তু আমারে মারতে চাওয়ার কারণডা তোর কী মনে হয়?

বাবু- সে (জামিল) বিভিন্ন জায়গা থেকে, ভাঙ্গাড়ি দোকান থেকে টাকা-পয়সা নিছে, আমি আপনারে জানাইলাম না ভাই। আমি বুছতাছি না ভাই, হেয় (জামিল) মনে হয় পাগল হইয়া গেছে, নাকি নেশা করতে করতে শেষ হইয়া গেছে, কিছু বুঝতে পারতাছি না। মামুন মিয়াও হের ওপর অতিষ্ঠ।

বাপ্পী- মামুন কি শিউর যে জামিলই কামডা করছে।

বাবু- মামুন ভাই আমারে এতটুকু কইলো যে, জামিল কাজটা করাইছে, তবে আপনারে নিয়া না, ভাই। কাজটা বলেছিল জুয়েল রানারে (পুলিশ পিটিয়ে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা) নিয়া, বুঝছেন। তবে যে ছেলেরা ধরা পড়ছে তারা বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিচ্ছে- কাজটা আপনারে নিয়া।

বাপ্পী- আমার নামে স্বীকারোক্তি দিলে জুয়েল রানার নাম কেমনে আইলো।

বাবু- এইডাই আমি কিছু বুঝতাছি না, ভাই। বিশ্বাস করেন ভাইয়া, আমি এইগুলার কোনোডার সাথে জড়িত না।

বাপ্পী- নির্বাচনের (কাউন্সিলর) আগে যা কিছু ঢুকাইছে, যা কিছু করছে ওইডা ঠিক ছিল। নির্বাচনের আগে ওর সঙ্গে আমার কোনো কথা ছিল না। নির্বাচনের পরে তুই আইসা তো একটা মধ্যস্থতা করছোস। বহুত রিকোয়েস্ট কইরা বললি ওগো কিছু একটা দেন। তোর মাধ্যমে আমি ১ লাখ টাকাও দিলাম।

বাবু- জি ভাইয়া।

বাপ্পী- যেন, ওদের সাথে কোনো দ্বন্দ্ব না রাইখা ভালো থাকি। কিন্তু এইডা কী হইতাছে?

বাবু- কী বলবো ভাইয়া। এরা যে এই রকম কুত্তা মরিয়া হইয়া যাইবো, আমি বুঝতে পারি নাই। তবে আপনারে নিয়া এইডা হইবো আমি জানতাম না। জানলে আপনারে জানায় দিতাম ভাইয়া।

বাপ্পী- যেহেতু আমার নাম আসতেছে, তাইলে হিটটা কার ওপর হয়?

বাবু- আপনার ওপরেই।

বাপ্পী- জামিলের সাথে আমার শত্রুতাটা কী? আমি ওর কী ক্ষতিডা করছি? বুঝলাম না।

বাবু- আমিও তো জানি না, আপনার সাথে তার সাথে কী শত্রুতা।

বাপ্পী- তোমারে কোন সময় কিছু বলে নাই জামিলে?

বাবু- জামিল? হের সাথে জীবনে কোনো সময় আজ পর্যন্ত আমার দেখা দূরে থাক কথাও হয় নাই। আমার মরা বাপের কসম। আমি এদের থেইক্যা সইরা যাইতাছিলাম ভাইয়া। আমার দুইডা বাচ্চা আছে।

বাপ্পী- আচ্ছা বাবু, নির্বাচনের আগেও আমার ওপর যে একটা হিট হওয়ার কথা ছিল এইডার ব্যাপারে তুমি জানতা না?

বাবু- আমি এইগুলোর কিচ্ছু জানতাম না ভাইয়া। আমার যদি কেউ ক্ষতি কইরা ফেলায়, একটাই কথা আপনারে কমু- আমি তো মইরাই যামু, আফসোস নাই। কারণ বিনাদোষে মরমু। আপনি মনে হয় আমারে সন্দেহ করতাছেন?

বাপ্পী- আমি এত কিছু করার পরও, মাইন্যা লওয়ার পরও…। টাকাও দিলাম, নির্বাচনের আগে তারা আমারে মারতে চাইছে, কাটতে চাইছে সব ঠিক ছিল। কারণ হেগো লগে আমি কিছু করি নাই। করছি? কিন্তু নির্বাচনের পরে তোর মাধ্যমে যা করলাম, তার পরও ওনার (জামিল) স্বার্থে এমন কী আঘাত করলাম, যে কারণে উনি এই কাজটা করতে চাইলো। আর, লাক্কুর কী আমি কী ক্ষতি করছি? উত্তর দে।

বাবু- ভাইয়া, আমি আপনারে কই নাই যে, আপনার শত্রু একজনই, লাক্কু। লাক্কু রেগুলার যোগাযোগ করে জামিলের সাথে। দুইদিন আগেও তো কথাডা আপনারে কইলাম।

বাপ্পী- তাইলে আমার তো মনে হয় ও (লাক্কু) জড়িত এই ঘটনার সাথে।

বাপ্পী- তোর কী মনে হয় আমারে ক্ষতি করার জন্য ওগোরে কেউ টাকা-পয়সা দিয়া কিনছে, এই রকম?

বাবু- কাগোরে?

বাপ্পী- এই যে জামিলরে বা কাউরে?

বাবু- লাক্কু ভাই তো প্রতিমাসেই টাকা দেয় জামিল ভাইরে। লাক্কু পুরা মেইনটেন করে জামিলরে- এইডা আমি শুনছি।

বাপ্পী- আমি তো আর লাক্কুর কোনো ব্যবসা নেইনি, নিছি?

বাবু- না ভাইয়া।

বাপ্পী- লাক্কুর সাথে আপাতত কোনো পলিটিক্যাল ক্ল্যাশও নাই, আছে? তাইলে, আমারে মারার যে প্ল্যানটা, এটা কী? সেইটা জানতে চাইছি।

বাবু- কী কারণে আমি কেমনে কমু ভাইয়া? আপনার লগে হেগো কী সমস্যা আমি তো আর সেই ভিতরের খবর জানি না ভাইয়া।

বাপ্পী- এখন মামুন কাকারে বল, যদি নিরাপদেই না থাকে, তাইলে কে আপনার সাথে সম্পর্ক রাখবে। বলবি- আমি যে তার কাছ থেকে এইডা (এক লাখ টাকা) আনলাম, কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও লোকটা যদি নিরাপদ না হইতে পারল তাইলে সেই লোকটা আপনার সাথে কী সম্পর্ক রাখবে জানতে চাইছে?

বাবু- ঠিক আছে ভাই, আসসালামুআলাইকুম।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী থানা যুবলীগের সভাপতি তাইজুল ইসলাম বাপ্পীর কাছে থানায় বোমা হামলার রাতে তার সঙ্গে বাবুর এই ফোনালাপের বিষয়টি জানতে চাইলে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তথ্যের বিষয়ে জানতে বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু তার সেল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মামুন-জামিলের ভাড়াটে কিলার রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশাররফও (এই ৩ জন পল্লবী থানায় বিম্ফোরণের ঘটনায় অস্ত্র ও বিম্ফোরক আইনের দুই মামলার আসামি। গত বুধবার ভোরে তাদের অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করলেও এ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। বর্তমানে ডিবি পুলিশের হেফাজতে ১৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন তারা) দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার নীলনকশা ফাঁস করে দেন। হত্যার মিশন সফল করতে সরবরাহকৃত অস্ত্র এবং কালশী কবরস্থানে অস্ত্র-বোমা মজুদ রাখার বিস্তারিত তথ্যসহ ঘটনার আদ্যোপান্ত তারা জানিয়েছেন বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

পল্লবী থানার মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার রাতেই অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ তাদের টুইটার ও নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বোমা হামলার দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস (মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট)। তবে এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো ধরনের জঙ্গি সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ঘটনার পেছনের ঘটনা হলো- স্থানীয় রাজনৈতিক ও চাঁদাবাজকেন্দ্রিক বিরোধ। জিজ্ঞাসাবাদে বিদেশে পলাতক এক সন্ত্রাসীর সঙ্গে গ্রেপ্তার দুজনের যোগসূত্রের প্রমাণ মিলেছে। তার মাধ্যমেই এই হতাচেষ্টার মিশনে যুক্ত হন তারা। তবে অন্য একজন এই পরিকল্পনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করছেন।

পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার দায়ের করা দুই মামলা এখন তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম। গত ১ আগস্ট থেকে মামলা দুটি তদন্তভার পায় সংস্থাটি। তবে তদন্তের অগ্রতির বিষয়ে সংস্থাটির কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মামলা তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের সময়কে বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্তকাজ চলছে। তদন্তের স্বার্থেই এ বিষয়ে আর কিছু বলা সমীচীন হবে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com