শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
নারিন ঝড় ম্লান করে দিলেন হাসান আলি

নারিন ঝড় ম্লান করে দিলেন হাসান আলি

ফাইল ছবি

আগেরদিনই জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে পড়েছেন তিনি মধুর সমস্যায়। যদি আমিরকে সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে একজন ব্যাটসম্যান কমাতে হবে তাকে। কিন্তু কাকে বাদ দেবেন? ব্যাটসম্যানরা যে সবাই ফর্মে! তারওপর বিদেশি কোটার বিষয় আছে। কাকে বাদ দিয়ে আমিরকে নেবেন তিনি?

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান যখন টস করতে নামছিলেন, তখনও জানা গেল না কী সিদ্ধান্তটাই না নিচ্ছে ঢাকা! গত তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচেই দলের সেরা পারফরমার শহিদ আফ্রিদিকে বসিয়ে রাখা হলো। নেয়া হলো মোহাম্মদ আমিরকে। আফ্রিদি ব্যাট এবং বল হাতে সমান পারফরমার। এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে যেমন ঝড় তুলছেন, তেমনি বল হাতে তো রীতিমত বিধ্বংসীরূপ ধারণ করছেন তিনি। ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকারই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

আফ্রিদিকে বসিয়ে রেখে ঢাকা কি ভুল করলো? জবাব পেতে হয়তো খুব বেশি দেরি করতে হয়নি। পাকিস্তানি এই ড্যাশিং ওপেনারের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামানো সুনিল নারিন না হয় তার অভাবটা পূরণ করেছেন। ঝড় তুলেছেন ব্যাটে। ৪৫ বল খেলে ৭ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় করেছেন ৭৬ রান। এছাড়া কুমার সাঙ্গাকারা করেছেন ২৮ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই আর দুই অংকের ঘরও ছুঁতে পারেননি।

যেখানে আনকোরা ব্যাটসম্যান সুনিল নারিন উত্তাল ব্যাটিং করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলার এবং ফিল্ডারদের দিশেহারা করে দিয়েছিলেন, সেখানে কেন মাত্র ১২৮ রানেই অলআউট ঢাকা ডায়নামাইটস? যে দলটি এই টুর্নামেন্টেই এখনও পর্যন্ত দু’বার ২০০ প্লাস স্কোরের জন্ম দিয়েছে, তারা কিভাবে ১৮.৩ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হয়?

ভাগ্যিস সুনিল নারিন দাঁড়াতে পেরেছিলেন। না হলে যে ঢাকাকেই সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় অধোবদন হতে হতো! সেই লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন কেবল নারিনই। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে নারিনের ইনিংস ওপেন করার অভিজ্ঞতা আছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মার-মার কাট-কাট ব্যাটিংই দরকার। যে কয়বল টিকে থাকা যায়, মারতে হবে। স্ট্রাইক রেট যত পারা যায় বাড়িয়ে ব্যাটিং করতে হবে। নারিন সেটা পারেন। কেকেআরেও সেটা প্রমাণ করেছেন। বিপিএলে ঢাকার হয়ে এই প্রথম ইনিংস ওপেন করতে নেমেও পারলেন। তার নিজের কাজটা তিনি করে দিয়ে গেছেন। ৪৫ বলে ৭৬ রান চাট্টিখানি কথা নয়!

কিন্তু নারিনের এই উত্তাল উইলোবাজি যে পুরোপুরিই ম্লান হয়ে গেলো এক তরুণ পাকিস্তানি পেসারের হাতে! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই এই পেসার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আগামীর ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবেন তিনি। করছেনও। মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের বোলিং ব্যাটারিতে কতটা ভয়ঙ্কর শক্তির রূপ দিয়েছেন হাসান আলি, তা কেবল তাদের প্রতিপক্ষ হওয়া দলগুলোই বুঝতে পারছে। যেমনটা বুঝতে পেরেছিল ভারত, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে।

আজ বুঝতে পারলো ঢাকা ডায়নামাইটস। যদিও এই ম্যাচে আমির আর হাসান আলি পরস্পর প্রতিপক্ষ। কিন্তু হাসান আলি যে সত্যি সত্যি বর্তমান সময়ে পেস জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, সেটা যে কোনো উইকেট কিংবা পরিবেশেই হোক না কেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শেষ করে আসার পর আরও একটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ছিলেন পুরোপুরি খরুচে বোলার। ৩৯ রানে দিয়েছিলেন তিনি। নিয়েছিলেন ১ উইকেট।

এরই মধ্যে ঢাকায় পার করে ফেলেছেন নিজের চতুর্থতম দিন। এর মাঝেই ঢাকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ফেলেছেন নিজেকে। উইকেটটাও বেশ পড়া হয়ে গেছে। যে কারণে আজ যখন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান সুনিল নারিন ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন, তখন বল হাতে আরও বিধ্বংসীরূপে আবির্ভূত হয়ে গেলেন হাসান আলি।

কতটা বিধ্বংসী? তা তার বোলিং ফিগার দেখলেই বোঝা যাবে। ৩.৩-০-২০-৫। টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বিধ্বংসীরূপ আর কে কবে দেখেছে? পরিসংখ্যান ঘাটলে হয়তো আর দু’একটি পাওয়া যাবে। তাও পুরো টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে। হাসান আলির এই ঝড়েই উড়ে গেল ঢাকার শক্তিশালি ব্যাটিং লাইনআপ। সুনিল নারিনের ঝড় তখনই ম্লান হয়ে গেলো, হাসান আলির সামনে।

২০ রান দিয়ে একা একজন ৫ উইকেট নেয়ার পর অন্যদের আর কিছু করার থাকে না। সঙ্গে যোগ হয়েছিলেন সাইফউদ্দিন আর ঢাকার দুর্ভাগ্য। সাইফউদ্দিন ফিরিয়েছিলেন ভয়ঙ্কর নারিনকে। আর দুর্ভাগ্য হলো, দুটি রান আউট। ২৮ রান করা সাঙ্গাকারা হয়েছেন রানআউট। গত তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করা কাইরন পোলার্ডও হয়েছেন রানআউট। ঢাকার আকার্শে দুর্ভাগ্য ভর তো করেছিল তখনই। ১২৮ রানে অলআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে যার ষোলকলা পূর্ণ হলো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com