ফারহান-উর-রহমান ॥ভোলা জেলাধীন লালমোহন উপজেলা ধলীগৌর নগর ডিগ্রি কলেজে দূর্নীতির জন্য অধ্যক্ষ মোঃ আকবর হোসেন কে দায়ী করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম,এবং টাকা আত্মসাৎ করায় জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ করেছেন। দৈনিক দখিনের খবর পত্রিকাকে উক্ত কলেজের বেশ কয়েকজন প্রভাষক লিখিত ভাবে জানান, অধ্যক্ষকে কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারী চাকুরির জন্য কমপক্ষে এক কোটি টাকা তাদের কাছ থেকে গ্রহন করেছেন। ২০১০-২০১৯ সাল পর্যান্ত কলেজের বিভিন্ন উৎস থেকে আয় হয় প্রায় চার কোটি টাকা।কলেজের এ সকল টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। এ ব্যাপারে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে চাকরি হারানোর ভয় দেখায়। অধ্যক্ষ আকবর হোসেন কলেজের মসজিদ করার কথা বলে কলেজের বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন,অথচ মসজিদটি করতে ব্যায় হয় পাঁচ লক্ষ টাকা, বাকি টাকা সে আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের শিক্ষকরা দাবী করেছেন অধ্যক্ষ আকবর হোসেনের নিয়োগ ও শিক্ষাগত সনদ এর মধ্যে জালিয়াতি রয়েছে, বেইন বেইজ কাগজে দেখা যায় তার নিয়োগ যোগদান ২০০৩ সালে কিন্তু এমএ পাস করেন ২০০৬ সালে এবং দেখা যায় সে ২০০৬ সালে এমএ পাশ করে, ২০০৮ সালে নিবন্ধন পাশ করেন । এন,টি,আর,সি এ এর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে কলেজ নিবন্ধন পাশের তালিকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তার পাশের কোনো তথ্য নেই। অধ্যক্ষ মোঃ আকবর হোসেন উক্ত কলেজে চাকরি নেওয়ার আগে ভোলা জেলা শাখার একটি ইসলামি ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন,প্রায় আশি লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার কারনে চাকরি হারান,বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ইসলামি ব্যাংকের একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং ১৪/২০১৬ ভোলা জজ কোর্ট। তারনামে আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আকবর হোসেনকে ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এবং জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এবং ২৮-০৭-২০২০ ইং তারিখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী তদন্ত করেন। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্ত শেষ হওয়ার পরে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply