লালমোহন প্রতিবেদক ॥ লালমোহনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তড়িঘড়ি করে পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চর কচুয়াখালীতে ভূমিহীনদের মাঝে সরকারি ঘর হস্তান্তর করতে যাওয়ার পথে তেঁতুলিয়া নদীতে নৌকা ডুবে ১৫ জন সরকারি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এসময় ডুবে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশপাশে মাছ ধরা নৌকা এবং ডুবে যাওয়া নৌকা ধরে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের প্রাণ বাচান। পরে পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া খালগোরা ও চর কচুখালী থেকে স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। পরে তাদেরকে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। ৯ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়াই তাদের লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিদায় তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ৫ই আগস্ট বুধবার বিকেলে লালমোহন পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া ও বিচ্ছিন্ন চর কচুয়াখালীর মাঝখানে তেঁতুলিয়া নদীতে এই ঘটনা ঘটে। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমির নির্দেশে এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পশ্চিম চরউমেদ ইন্ডিয়ানের বিচ্ছিন্ন চর কচুয়া খালিতে ভূমিহীনদের মধ্যে সরকারি ঘর হস্তান্তরের জন্য রওনা হয়ে ছিলেন বলে জানা যায়। আহত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন অপূর্ব দাস, ভূমি অফিসের তসিলদার আশাদুজ্জামান রনি, আজারুদ্দিন, অনিমেষ বেপারী, সিরাজ উদ্দিন, মমিন,সহুমায়ুন, গৌরাঙ্গ চন্দ্র, সুনীল বাবু, জসীমউদ্দীন, সাঈদ আহমেদ, শরীফুর রহমান ও মোস্তফা।
গোপন সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চর কচুয়াখালীর গুচ্ছগ্রামে সরকারি ঘর নির্মাণ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। তাই তড়িঘড়ি করে উপজেলা নির্বাহি অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কে নিয়ে বিচ্ছিন্ন চর কচুয়া খালির গুচ্ছগ্রামের ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তিনি না গিয়ে উপজেলার ত্রাণ কর্মকর্তা অপূর্ব দাস এর নেতৃত্বে ১৫ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিচ্ছিন্ন চর কচুয়া খালিতে পাঠান, ভূমিহীনদের মাঝে দ্রুত ঘর হস্তান্তর করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। স্থানীয় জনগণের প্রশ্ন উপজেলা নির্বাহি অফিসার এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে তড়িঘড়ি করে কেন ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করবেন? কি এমন রহস্য লুকিয়ে আছে এর ভিতর। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি’র কাছে তাদের দাবি দ্রুত তদন্ত করে এই রহস্য উদঘাটন করা হোক। এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায় ভূমিহীনদের তালিকা করতে চর কচুয়ায় খালিতে যাওয়ার জন্য দুই তিনদিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসে একটি মিটিং হয় কিন্তু তারা যে সময় গিয়েছে তখন আকাশের অবস্থা কিছুটা খারাপ ছিল, তাদেরকে না যাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে নিষেধ করা হয়।
তারা নিষেধ না শুনে নিজের মন মত রওনা হয়। তেতুলিয়া নদীর মাঝখানে গিয়ে প্রচন্ড ঝড়ের ভিতর পড়লে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়। তবে তারা এখন ভালো আছেন সুস্থ আছেন। তবে আপনারা যে ঘটনা শুনেছেন ঘটনা সত্য নয়।
Leave a Reply