পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ “গ্রাম সহ ইউনিয়নের মধ্যে সকল কু কর্মের অলিখিত গড ফাদার হয়ে সমাজের নিরীহ জনতার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ উঠেছে সারেংকাঠী ইউনিয়নের মৃত কাজী মোজাহার আলী ডাক্তারের ছেলে রিপন কাজীর বিরুদ্ধে।স্থানীয় সুত্র জানায়, বিগত বছর থেকে চলতি সময়ে গ্রামের সকল মানুষের ক্ষতি সাধন করে বে আইরনি ভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে সমগ্র ইউনিয়নের বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমাদের এলাকায় রিপন কাজীর মত এত খারাপ লোক আর দ্বিতীয় নেই। বিগত সময়ে নিজ বাবা কাজী মোজাহার ডাক্তার রিপন কাজীর বেআইনি কর্মকান্ডের জন্য স্থানীয় ভাবে তেজ্যপুত্র করে। এলাকার বহু প্রবীন লোকজন আরও বলেন, রিপন কাজীর জগন্যতম কাজ কর্মের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ডবাসীরা ঈদগাহ মাঠ থেকে বের করে দেয় বিগত সময়ে। শুধু নষ্ট চরিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং নারী, মদ, জুয়া সহ সকল প্রকার অপরাধ মূলক কাজের গড ফাদার। চরিত্রগত দিক দিয়ে অতি নগণ্য আর তার প্রমাণ আপন ভাইয়ের বউকে ফুসলিয়ে বিছানার সংগী করে। অবশ্য পরবর্তী সময়ে অপকর্মের ঘটনায় জড়িয়ে ভাইয়ের বউকে বিয়ে করে লম্পট রিপন কাজী। এদিকে সারেংকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে চলতি সময়ে মাদকের গড ফাদারও বলা যায় রিপন কাজীকে। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, ” রিপন কাজী বিগত সময় থেকে চলতি সময়ে কোন রকম চাকরি বা ব্যাবসা বানিজ্য করে না ” তাহলে কি ভাবে সংসার পরিচালনা করেন শয়তানের চেয়েও বড় শয়তান মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা রিপন কাজীর মত ধান্দাবাজরা। অপর দিকে এলাকার বেশীরভাগ মহিলারা পৃথক পৃথক ভাবে গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের এলাকায় বহ নারী দিয়ে অনৈতিক কাজ কর্ম করিয়ে রিপন কাজী চরম বিতর্কিত। মাদক সহ চাঁদাবাজির মতো সকল শীর্ষ অনৈতিক কাজ কর্ম করাই বর্তমান পেশা। আর একথা গুলো এলাকার বহু শিক্ষক সহ সুশীল সমাজের লোকজন মিডিয়াকে বলেন। অবশ্য বর্তমান মেম্বার সহ সাবেক জন প্রতিনিধিরা গণ মাধ্যম কর্মীদের কাছে কোন রকম তথ্য দেয়নি। তবে এলাকায় বহ বয়েজেষ্ঠ প্রবীণ লোকজন বলেন, “রিপন কাজী গায়ের জোরে সারেংকাঠী ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে মেম্বার নির্বাচন হন। অবশ্য ঐ সময়ে ভোট কেটে কোন রকম নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে স্থানীয় ভোট ব্যংকে ভোট না থাকায় আর কখনো মেম্বার হয়না বিতর্কিত হওয়ার কারণে। এদিকে রিপন কাজীর অত্যাচারে এলাকার বহু ভুক্তভোগীরা আইনের সহায়তা চায় বহু বছর থেকে। তবে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা মাদক সম্রাট ও চাঁদাবাজির অলিখিত গড ফাদার রিপন কাজীকে ভয় পায় বলে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন মনে করেন অ। অবশ্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেওয়া হলে রিপন কাজীর মত বহু অপকর্মের খল নায়ককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা শতভাগ সম্ভব। সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করতে চেয়ারম্যান মোঃ সায়েমের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। রিপন কাজীর বিষয়ে নানান তথ্য পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। অথচ মিডিয়ার সকল প্রশ্নের জবাব সুকৌশলে এডিয়ে যান বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সায়েম। তবে নৌকার টিকেট পাওয়া গত নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জনপ্রিয় কলেজ প্রভাষক মোঃ নজরুল ইসলাম জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে সত্যি কথা বলা সকলের দরকার। ভোটের চিন্তা ভাবনা করলে সমাজে কেহই সত্য কথা বলতে পারবেন না। তবে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি হোক আর এটাই চায় এলাকার বেশীরভাগ লোকজন। পাশাপাশি রিপন কাজীর মত বাজে প্রকৃতির লোকজনের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার বলে মনে করেন সুশীল সমাজের লোকজনরা।
Leave a Reply