সারওয়ার মো: সাইফুল্লাহ খালেদ: বাংলাদেশকে ভারত থেকে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। একসময়- যেমন বিগত পঞ্চাশ-ষাটের দশকে তা করতে হতো না। সে সময়ে দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হতো তাতেই চলত। এখন চলে না। তাই পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় বিভিন্ন কারণে। একসময়ে অর্থাৎ স্বাধীনতা পূর্বকালে পেঁয়াজের বাজার ছিল কৃষকের হাতে। কৃষকই উৎপাদক এবং বিক্রেতা ছিল তখন। এখন পেঁয়াজের উৎপাদন কৃষকের হাতে থাকলেও বিক্রিটা বহুলাংশেই চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। এ ছাড়া দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ এবং অন্যান্য মসলাপাতিসহ নানাবিধ পণ্যসামগ্রীর চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদা যতটা বেড়েছে উৎপাদন সে অনুপাতে কমই বেড়েছে। দেশীয় উৎপাদনে চাহিদা মেটে না- বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই আমদানি মূল্য ও পরিস্থিতির ওপর দেশের বাজারে পণ্যসামগ্রীর মূল্য অনেকটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। হালে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে শুরু হয়ে গেছে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি। অন্য দিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে (নয়া দিগন্ত, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০)।
এ ছাড়া, আগে রাজনীতি করতেন রাজনীতিকরা আর এখন রাজনীতি করেন ব্যবসায়ীরা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন ‘পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে কি না জানি না’। নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে হরেকরকম পণ্যমূল্য বৃদ্ধির এটাও একটা মূল কারণ। নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে আমরা যারা মধ্যবিত্তশ্রেণীর লোক তাদের হরহামেশাই মাথা ঘামাতে হয়। সে সব পণ্যের মূল্য যদি নাগালের বাইরে চলে যায় তবে তো কথাই নেই- মাথায় হাত পড়ে। সম্প্রতি পেঁয়াজের বাজারে তাই ঘটেছে। দৈনিক কাগজে হেড লাইন পেঁয়াজের দাম ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে’। ভেবে দেখুন মধ্যবিত্তের অবস্থাটা তাহলে কী।
সত্তরের দশকের একটি ঘটনা মনে পড়ল। সত্তরের দশকের শেষার্ধ থেকে আশির দশকের প্রথম ক’মাস ঢাকার তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করেছি। সে সময়ে শিক্ষকতা পেশায় বেশ কিছু প্রতিভাবান শিক্ষক কর্মরত ছিলেন। তাদেরই একজন ইংরেজি বিভাগের শামসুল হক সাহেব। তার স্ত্রীও সরকারি কলেজে ইতিহাসের শিক্ষক- অবশ্য অন্য কলেজে। থাকতেন বনানীর সরকারি বাড়িতে। একদিন ক্লাস থেকে এসে স্টাফ রুমে বসে আছি পরবর্তী ক্লাসের অপেক্ষায়। দীর্ঘকায় শ্যামবর্ণের আধাপাকা ঘন কোঁকড়া চুল মাথায়, একহারা গড়নের সে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক লম্বা পা ফেলে আমার দিকে এগিয়ে এলেন। হাতে হার্ড বোর্ডে বাঁধাই করা একটি বই। আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে বইটি খুলে আমাকে দেখালেন। না, কোনো ছাপা বই নয়। টাইপরাইটারে টাইপ করে বাঁধাই করা পরিমিত সাইজের একটি বই। বললেন, ‘সর্বক্ষণ পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, চাল, ডালের দাম নিয়ে মাথা ঘামাতেই আমাদের সময় যায়। কোনো কিছু লিখার বা উচ্চচিন্তা, উচ্চভাব মাথায় ঢোকার সুযোগ কোথায়? এরই মধ্যে এটি টাইপরাইটারে লিখে বাঁধাই করেছি। একটু দেখুন।’ বইটি হাতে নিলাম। ইরেজিতেই লিখেছেন। বললেন, ‘ভাবছি, চেষ্টা চালিয়ে যাব। শুরু করেছি।’ এর কিছুদিন পর ঢাকা কলেজে চলে এসেছি। তার সাথে আর দেখা হয়নি। বইগুলো ছেপেছেন কি না জানি না।
ম্যাক্সিম গোর্কির প্রথম জীবন দারিদ্র্যক্লিষ্ট ছিল। তেমনি বিজ্ঞানী এডিশনের। এমন আরো অনেক উদাহরণ টানা যায়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সারাটা জীবনই তো তেমন ছিল। পরাধীন ভারতে ‘আমার কৈফিয়ত’ কবিতায় চির দুঃখী নজরুল লিখেছেন- ‘বড় কথা বড় ভাব আসেনাক মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে,/অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে’। দেশ ও সমাজের রাজনীতি ও পরিবেশ পরিস্থিতিও মানুষের চিন্তার জগতে প্রভাব ফেলে। প্রজার খাজনাভোগী জমিদার কবি রবিঠাকুর অমরত্বের অভিলাষে অনেক লিখেছেন। দুঃখ-দৈন্যে জীবন টেনে টেনে চলা অমর নজরুল তত লিখতে পারেননি। তার জীবন ও লেখা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মনকে স্পর্শ করে গেছে। তাই তিনি সবার কবি। ব্রিটিশরাজ মহৎ নজরুলকে ‘সর্বক্ষণ পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, চাল, ডালের দাম নিয়ে মাথা’ ঘামিয়ে সাধারণ লোকদের মতো জীবন পার করাতে বাধ্য করতে পারেনি। নজরুল নিরন্তর লিখে গেছেন যতদিন সুস্থ ছিলেন। আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে,/দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে’। নজরুল যা লিখতেন সে বিষয়ে তিনি সচেতন ছিলেন। তবে কথা সত্য, তার লেখা কোনো ‘ক্ষ্যাপা বাউলের’ প্রলাপ নয়। অভাব অনটনেও মানুষ মানুষ হয়- ইতিহাস সে সাক্ষ্যই দেয়।
সেই ব্রিটিশ ভারতেরই আরেক লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক পত্রে লিখেছিলেন- ‘বেগুনের দাম এক পয়সা বাড়িল। লোকে বাঁচিবে কেমন করিয়া’। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সাথে মানুষের জীবন-মরণের সম্পর্ক এ কথাটি বিভূতি অর্থনীতিবিদ না হয়ে সাহিত্যিক হয়েও উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। আর পারবেন-ই বা না কেন, তাকেও বাজার করে খেতে হতো। ষাটের দশকের প্রথমার্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির আলোচিত অধ্যাপক ড. আবু মাহমুদ আমাদের উপদেশ দিতেন- সপ্তাহে একবার হলেও বাজারে যেও। চাকরি জীবনে যখন বাজার করতে শুরু করেছি তখন বুঝলাম কেন তিনি তা বলতেন। আমাদের দেশে পেঁয়াজের কেজি শত টাকায় ঠেকেছে। অপরাপর নিত্যপণ্যের দামও এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, শামসুল হক সাহেবের ভাষায় ‘সর্বক্ষণ পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, চাল, ডালের দাম নিয়ে মাথা ঘামাতেই আমাদের সময় যায়’।
রাষ্ট্রের ভালোমন্দ দিক নিয়ে সাধারণের ভাবার সময় ও সুযোগ কোথায়? নিজের জৈবিক অস্তিত্ব রক্ষায় লোকজন এতটাই ব্যস্ত যে, আয়-উপার্জনের ভালোমন্দ দিক বিবেচনা করার নৈতিক মূল্যবোধও লোপ পেতে বসেছে। অথচ সমাজের উচ্চপর্যায়ে যে অবস্থা বিরাজমান, তা প্রাচীন রোমান এবং পারস্য সাম্রাজ্যের ‘অভিজাত’ শ্রেণীর ধন-ঐশ্বর্য আহরণের দুর্মর প্রতিযোগিতার কথা মনে করিয়ে দেয়। এতে নানা দুর্নীতি সমাজের তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুর্নীতিরই শিকার আমরা সাধারণ ক্রেতারা। শোনা যায় ‘মোদি সরকার ভোটে জিততে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ দিচ্ছে না’; এটি সত্যি হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
এ ছাড়া, নানা কিসিমের দেশীয় দুর্নীতির প্রক্রিয়ায় স্বাধীন দেশে ব্রিটিশরাজের মতো লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। তাই সমাজের একটি শ্রেণীর কাছে ‘পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, চাল, ডালের দাম’ যাই হোক তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। তাদের এ নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না বলে কেবলই এই চিন্তায় তাদের ‘সময় যায়’ না। এরা নিশ্চিন্তে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ান আর অনেকে নিত্যপণ্য যেমন পেঁয়াজ, বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস ইত্যাদির দাম ও দুর্নীতি নিয়ে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করে সময় কাটান। এ এক বিলাস অনেক ক্ষেত্রে। এ এক মজার খেলা। যেন এরা ধোয়া তুলসী পাতা এবং সর্বান্তকরণে জনদরদি। তাদের উদ্দেশ করেই হয়তো লোক-গায়করা গেয়েছেন ‘ও আমার দরদি, আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় চড়তাম না’।
ভাঙা নৌকার পানি দিয়ে সরবত বানিয়ে সাধারণ মানুষ পান করতে পারে না বা জানে না বলেই তাদের এই হাহাকার। যারা পারেন তারা অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো ট্রাকভর্তি, গুদামভর্তি, দোকানভর্তি বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ সাজিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে মুনাফা লুটে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। গত বছরও পেঁয়াজের দাম এমন আকাশচুম্বী হয়েছিল। সেবার (৪ নভেম্বর ২০১৯) নয়া দিগন্তে বেরিয়েছে, পেঁয়াজের এ দুর্র্মূল্যের দিনেও ‘চার মাসে তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘পেঁয়াজ সিন্ডিকেট’। সাধারণের কাছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, কাঁচামরিচের ঝাল যত বাড়ে তাদের তত মজা। তাই সাধারণের ‘বড় কথা বড় ভাব আসেনাক মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে’। পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণকে বিপাকে ফেলে জনগণের চিন্তা-চেতনা ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ পর্যায়ে রেখে ওরা মজা লোটে। একেই বলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার।
জনহিতের জন্যই মানুষ দলবেঁধে রাজনীতি করে। এর ব্যত্যয় হলে রাজনীতিকরা স্বার্থপর বলে গণ্য হন। দেখা যায়, তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতির ক্ষেত্রেও সরকার বা সরকারি দল বিরোধীদের এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে যে, জনহিতের কথা ভুলে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ চিৎকারের ঘেরাটোপের মধ্যেই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আটকে যায়। রাজনীতিকরা তখন বাধ্য হয়ে দেশের কথা ভুলে নিজেদের অস্তিত্বের কথাই বেশি ভাবেন। আমাদের দেশে বিরোধী দলগুলোকে সরকার সেই পর্যায়েই নিয়ে গেছে। ফলে তারা দেশের কথা মাথা থেকে মুছে কেবল নিজেদের কথাই ভাবছেন। উদাহরণস্বরূপ নিকট অতীতের ওয়ান-ইলেভেনের সরকার এবং বর্তমান সরকারের আচরণের কথা উল্লেখ করা যায়। ওয়ান-ইলেভেন সরকার দেশের বৃহৎ দুই দল আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুই শীর্ষ নেতাকেই শুধু জেলে পোরেনি, একই সাথে এই দুই দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও সত্য-মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। উভয় দলই তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ চিৎকারে।
এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নিজেদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলাগুলো শুধু যে রেখে দিয়েছে তাই নয়। বরং আরো অনেক মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাস্তানাবুদ করে দেশসেবার নাম প্রায় ভুলিয়ে দিয়েছে। এখন বিএনপির মূল দাবি হলো- তাদের দলনেত্রীর কারামুক্তি। মৌলিক দাবি। ইতোমধ্যে অবশ্য খালেদা জিয়া সাময়িক মুক্তি পেয়েছেন। ক্ষমতাসীনরা যে দেশ লুট করছেন, সেটাও বিরোধীরা বলে থাকেন। তবে আপাতত সেটা অভিযোগের পর্যায়েই আছে। এর বেশি কিছু তাদের করার নেই। ব্রিটিশ, ভারত বা পকিস্তান আমলে বিরোধী নেতাদের প্রতি সরকারের এহেন হীন মনোবৃত্তি ছিল না। সে সব আমলে বিরোধী নেতারা রাজবন্দী বলে বিবেচিত হতেন এবং এভাবেই তাদের বন্দী করা হতো; একপর্যায়ে ছাড়াও পেয়ে যেতেন। এখন বিরোধীদের বন্দী করা হয় ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে। বিষয়টা তাই জটিল আকার ধারণ করেছে- ছাড়া পাওয়া না পাওয়া আদালতের হাতে; তাই মুক্তি পাওয়াটা কঠিন।
নিত্যপণ্যের বিশেষত পেঁয়াজের দাম নিয়ে এ নিবন্ধটি শুরু করেছিলাম, রাজনীতির অবতারণা করলাম কেন তা বলি। মানুষ যত মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই কাজে নামুক না কেন, পথের কাঁটা এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে যে তখন ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার মতো বলতে বাধ্য হয়- ‘হাজার কবিতা/বেকার সবই তা/তার কথা/কেউ বলে না’। সহকর্মী শামসুল হকের কথাই হোক, দেশপ্রেমীদের কথাই হোক বা নচিকেতার প্রেয়সী নীলাঞ্জনার কথাই হোক। অভাব এসে যখন দুয়ারে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়’- পেঁয়াজের ঝাঁজ যেমন চোখে পানি আনে, তেমনি ব্যর্থতার বেদনার ঝাঁজও চোখে পানি আনে। তাই ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ও কিছুটা গাইতে হলো। তবে এটাও ঠিক, নজরুল যেমন বলেন, ‘তোমার দুঃখ তোমারেই যদি, বন্ধু, ব্যথা না হানে, কি হবে রিক্ত চিত্ত ভরিয়া আমার ব্যথার দানে’! কবির ভাষায়- ব্যথা জাগানিয়া একটি সচেতন গোষ্ঠী দেশে গড়ে উঠতে হবে তবেই কবির কবিতা, গায়কের গান, লেখকের লেখা, সাংবাদিকের কলাম অর্থবহ হবে, নচেৎ সবই বৃথা। পেঁয়াজের ঝাঁজ, কাঁচামরিচের ঝাল অন্যথায় ভোক্তার চোখের পানি হয়েই ঝরবে চিরকাল।
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল, কুমিল্লা মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।
Leave a Reply