বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
বরগুনায় শ্যালককে হত্যার পর লাশ ভাসিয়ে দিলেন দুলাভাই

বরগুনায় শ্যালককে হত্যার পর লাশ ভাসিয়ে দিলেন দুলাভাই

বরগুনা প্রতিবেদক ॥ বরগুনা সদর উপজেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া নিহতের আরেক ভাইকে একই প্রক্রিয়ায় হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত নিহতের ভগ্নিপতি মোসলেমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। নিহত ওই শিশুর নাম আবদুল্লাহ (৬)। এখনও পর্যন্ত তার লাশের খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢলুয়া ইউনিয়নের ডালভাঙা এলাকার বিষখালী নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আবদুল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিতের পর বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয় মোসলেম। পরে তার ছোট ভাই দেড় বছরের আফসানকেও একই প্রক্রিয়ায় হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় ঘাতককে হাতেনাতে আটক করা হয়। এখনও পর্যন্ত শিশু আবদুল্লাহর খোঁজ মেলেনি। হত্যার কথা মোসলেম স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি জানান, ডালভাঙা এলাকার নদীসংলগ্ন একটি দীঘিতে শিশু আফসানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করছিলেন মোসলেম। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয়রা মোসলেমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
নিহতের বাবা ছগীর জানান, তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। আবদুল্লাহ ও আফসানকে আমার মেয়েরা দেখাশোনা করতো। জামাতা মোসলেমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ এলাকায়। সে ঢাকায় রিকশা চালায়। সপ্তাহখানেক আগে বরগুনায় বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার বিকালে ডালভাঙা এলাকায় নানাশ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে শিশু আবদুল্লাহ ও আফসানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় মোসলেম। সন্ধ্যার পর তিনি জানতে পারেন তার বড় ছেলে আবদুল্লাহকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর লাশ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে মোসলেম। ছোট ছেলে আফসানকে একই প্রক্রিয়ায় হত্যার সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করে।
সগীর আরও জানান, ঢাকায় থাকা অবস্থায় স্ত্রী ও সন্তানকে ঠিকমত ভরণপোষণ না দিলে মাসখানেক আগে তার মেয়ে সন্তান নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। মোসলেমও সপ্তাহখানেক আগে এসে তার বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত আমরা মোসলেমের কাছে আমার নাতিকে দিতে রাজি হইনি। এর জেরে আমার ছেলেকে নিয়ে হত্যা করেছে সে। ঘাতক মোসলেম হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম। কিন্ত আমার স্ত্রী ও শ্বশুর নিয়ে যেতে দেয়নি। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে আবদুল্লাহ ও আফসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে বেড়াতে নিয়ে যাই। প্রথমে আবদুল্লাহকে দীঘিতে ফেলে চুবিয়ে হত্যা করি। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেই। এরপর আফসানকেও একই প্রক্রিয়ায় হত্যার চেষ্টা করি।’ বরগুনা সদর থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, নিহত শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘাতক মোসলেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com