ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের ভা-ারিয়া সদর সাব রেজিষ্ট্রি ভবন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভবনের ছাদের বিম ও প্লাস্টার ভেঙে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা। যে কোন মুহুর্তে ছাদ ধসে বড় ধরনে দুর্ঘটনা । সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও জমি রেজিষ্ট্রি সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও বিক্রেতা জ্বরাজীর্ণ ভবন নিয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন। রোববার সকালে ছাদের পলেস্তরা খসে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ায় ভবনটি জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ভা-ারিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসটি নির্মিত হলেও । তবে কোন মন্ত্রণালয়ের কোন বিভাগ থেকে ভবনটি নির্মান করা হয়েছে তার ও সঠিক কোন তথ্য সাব রেজিস্ট্রি দপ্তরে নেই। ভবনটি নির্মানের পর এরশাদ মুক্তি পরিষদ হিসেবে দীর্ঘদিন ভবনটি ব্যবহার করা হয়। সদরের ভাড়া ঘর থেকে পূর্ব ভা-রিয়ায় ওই এরশাদ মুক্তি পরিষদের হাত থেকে ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে উদ্ধার হওয়ার পর ভবনটি সাব রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বর্তমানে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ভবনটির বেহাল দশা । নির্মানের সময় ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথনি দিয়ে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে ভবনটি নির্মান করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই ভবনটির দেয়ালে ফাটল ও ছাদ দিয়ে পানি পরা শুরু করে। ভবনটি নির্মাণের অদ্যবধি সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে মূল্যবান দলিল পত্র ও বালামবই সংরক্ষণ করে আসছে সাবরেজিষ্ট্রি দপ্তর। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে রক্ষাকরাও অসম্ভব হয়ে পরেছে। এমনকি কর্মকর্তা, কর্মচারী, দলিল লেখক, ক্রেতা বিক্রেতারা জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ভবনে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশ করার সময় কর্মচারীরা অর বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন কিনা সেই সংঙ্কায় থাকেন তারা। এ কারণে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা । দলিল রাইটাররা দলিল বালামে তুলতে তাদের যে সময় লাগে বর্তমানের তিন থেকে চারগুনবেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু তাদের বৃষ্টিতে ছাতা ও পলিথিন দিয়ে লেখার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কর্মচারীরা জানে না এ ভবন থেকে তাদের কবে মুক্তি হবে।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম আকন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এই ভবনে তাদের কাজ করতে গিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। ভবন ধসের আতঙ্ক নিয়ে জমি ক্রেতা বিক্রেতারা । উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত বিষয়টি দেখা উচিত। না হলে ভবন ধসে মানুষের প্রাণহানী ঘটতে পারে। উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মো. হারুন আল ইসা বলেন, আমি এ উপজেলায় খন্ডকালীন সপ্তাহে দুই দিন দায়িত্ব পালিন করি। কিন্তু আমার দপ্তরে বসতে ভয় হয় । বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply