বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ভান্ডারিয়া সাব রেজিষ্ট্রি ভবন মরণফাঁদ

ভান্ডারিয়া সাব রেজিষ্ট্রি ভবন মরণফাঁদ

ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের ভা-ারিয়া সদর সাব রেজিষ্ট্রি ভবন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভবনের ছাদের বিম ও প্লাস্টার ভেঙে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা। যে কোন মুহুর্তে ছাদ ধসে বড় ধরনে দুর্ঘটনা । সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও জমি রেজিষ্ট্রি সংশ্লিষ্ট ক্রেতা ও বিক্রেতা জ্বরাজীর্ণ ভবন নিয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন। রোববার সকালে ছাদের পলেস্তরা খসে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ায় ভবনটি জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ভা-ারিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসটি নির্মিত হলেও । তবে কোন মন্ত্রণালয়ের কোন বিভাগ থেকে ভবনটি নির্মান করা হয়েছে তার ও সঠিক কোন তথ্য সাব রেজিস্ট্রি দপ্তরে নেই। ভবনটি নির্মানের পর এরশাদ মুক্তি পরিষদ হিসেবে দীর্ঘদিন ভবনটি ব্যবহার করা হয়। সদরের ভাড়া ঘর থেকে পূর্ব ভা-রিয়ায় ওই এরশাদ মুক্তি পরিষদের হাত থেকে ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে উদ্ধার হওয়ার পর ভবনটি সাব রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বর্তমানে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ভবনটির বেহাল দশা । নির্মানের সময় ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথনি দিয়ে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে ভবনটি নির্মান করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই ভবনটির দেয়ালে ফাটল ও ছাদ দিয়ে পানি পরা শুরু করে। ভবনটি নির্মাণের অদ্যবধি সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে মূল্যবান দলিল পত্র ও বালামবই সংরক্ষণ করে আসছে সাবরেজিষ্ট্রি দপ্তর। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে রক্ষাকরাও অসম্ভব হয়ে পরেছে। এমনকি কর্মকর্তা, কর্মচারী, দলিল লেখক, ক্রেতা বিক্রেতারা জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ভবনে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশ করার সময় কর্মচারীরা অর বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন কিনা সেই সংঙ্কায় থাকেন তারা। এ কারণে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা । দলিল রাইটাররা দলিল বালামে তুলতে তাদের যে সময় লাগে বর্তমানের তিন থেকে চারগুনবেশি সময় লেগে যায়। কিন্তু তাদের বৃষ্টিতে ছাতা ও পলিথিন দিয়ে লেখার দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কর্মচারীরা জানে না এ ভবন থেকে তাদের কবে মুক্তি হবে।
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম আকন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান এই ভবনে তাদের কাজ করতে গিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। ভবন ধসের আতঙ্ক নিয়ে জমি ক্রেতা বিক্রেতারা । উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত বিষয়টি দেখা উচিত। না হলে ভবন ধসে মানুষের প্রাণহানী ঘটতে পারে। উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মো. হারুন আল ইসা বলেন, আমি এ উপজেলায় খন্ডকালীন সপ্তাহে দুই দিন দায়িত্ব পালিন করি। কিন্তু আমার দপ্তরে বসতে ভয় হয় । বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com