চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আতœসাতের ঘটনায় ২ মাস পেরিয়ে গেলে ও তদন্তের কোন অগ্রগতি নেই। চর নুরুল আমিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও পুর্ব চর মঙ্গল সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিরিয়ার বিরুদ্ধে ৬৮ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আতœসাতের অভিযোগে ভুক্তভুগিরা সম্প্রতি সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্ত অভিযোগ দায়েরের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্তের কোন অগ্রগতি নেই। অজানা কারনে উপবৃত্তির টাকা কেলেংকারীর ঘটনা আটকে আছে বলে ভুক্তভুগি শিক্ষার্থী পরিবার আশংকা করেছেন। যদিও ভুলবসত নম্বর গুলো দেয়া হয়েছে বলে জানান পুর্ব চর মঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিবরিয়া। অপর দিকে পুর্ব চর নুরুল আমিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের দাবী প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসাতে এমন অভিযোগ তুলেছেন।
জানাযায়, চলিত বছরের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার প্রথম কিস্তির শিউর ক্যাশের মোবাইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিতরন করে সরকার। চরফ্যাসনের পুর্ব উত্তর চরমঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির তালিকায় শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের তথ্য সঠিক থাকলেও প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিবরিয়া ৩০জন সুবিধাভোগির মোবাইর নম্বর পরিবর্তন করে নিজের আত্মীয় স্বজনের মোবাইল নম্বরের মাধ্যেমে টাকা হাতিয়ে নেন।এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করার পর তদন্ত শুরু করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস।
একই ভাবে পুর্ব চরনুরুল আমিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন অভিবাবকরা। অভিযোগটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসকে তদন্তের দ্বায়িত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিন্তু অভিযোগ দেয়ার দুই মাস অতিবাহিত হলেও উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনার কোন তদন্ত হয়নি। শেষ হয়েও শেষ হয়নি তদন্ত। লাল ফিতায় বন্দী হয়ে আছে তদন্ত। দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭৩ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতাভুক্ত। এর মধ্যে ৬৮ জনের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে আতœসাত করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, পুর্ব চরনুরুল আমিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ব্যস্ততার কারনে তদন্ত করা শেষ হয়নি। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে রির্পোট প্রদান করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, অভিযোগ দুটি তদন্তের জন্য দুইজন কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখনও তদন্ত প্রতিবেদন তারা দাখিল করেননি।
Leave a Reply