লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি ॥ চারদিকে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। হিমেল বাতাসে শীত শুধু ভোগান্তির সৃষ্টিই করছে না, বয়ে আনছে নানান রোগবালাই। ভোলার লালমোহন উপজেলায় বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। এতে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই তিন শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। এসব শিশু নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিল বলে জানা গেছে। জানা যায়, শিশুরোগ মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সচল না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। প্রতিদিন ২০-২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শিশুদের নিয়ে স্বজনদের ছুটতে হচ্ছে উপজেলা সদরে। বিভিন্ন চিকিৎসকদের চেম্বারেও দেখা যায় শিশু রোগী নিয়ে আসা অভিভাবকদের ভিড়।
তবে সচ্ছল ব্যক্তিরা উপজেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নিলেও রীতিমতো বিপাকে পড়ছেন গরিব ও অসহায় রোগীর স্বজনরা। যার কারণে গ্রাম-গঞ্জের ফার্মেসি এবং কোথাও কোথাও হাতুড়ে চিকিৎসকরাই দরিদ্র রোগীদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অবস্থায় ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে দ্রুত চিকিৎসক পাঠানোর দাবি উঠেছে।
লালমোহন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মহসিন খান বরিশালক্রাইমট্রেস’কে বলেন, হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩ শতাধিক শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বরিশালক্রাইমট্রেস’কে বলেন, এ সময়ে শিশুদের রোগ বাড়ছে। এটি এক ধরনের সিজনালি বিষয়। প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তন হলে শিশু রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। আগের তুলনায় গত কয়েক দিনে ২০ শতাংশ শিশুরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরাও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি সাধ্যমতো। ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক না থাকার ব্যাপারে তিনি বরিশালক্রাইমট্রেস’কে বলেন, ৯ ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নে সাব সেন্টার রয়েছে। সেখানে সপ্তাহে দুদিন করে এমবিবিএস ডাক্তার পাঠানোর চেষ্টা করছি।
Leave a Reply