গলাচিপা প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় জোর পূর্বক ধান কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আশংকাজনক অবস্থায় ২ জনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের বড় শিবা গ্রামে মুন্সি বাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মো. নুরুল হক মুন্সি (৫৫), আ. রহিম মুন্সি (১৮), মোসা. বিউটি বেগম (৩৬), মোসা. ফাতেমা বেগম (৩৫), মো. রফিক মুন্সি (৩০) এবং মো. আবুল হোসেন (৩২)। আহতদের মধ্যে গুরুতর মো. রফিক মুন্সি এবং মো. আবুল হোসেনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মামুন বলেন, রোগীরা আমার চিকিৎসাধীনে আছে। ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক দেখে বরিশাল রেফার করা হয়েছে।
আহত বিউটি বেগম জানান, নজরুল হাওলাদার, রিয়াজ হাওলাদারের নেতৃত্বে ৩০/৩৫জন লোক একত্রিত হয়ে আমাদের উপরে হামলা করে। এতে আমরা আহত হই। এ বিষয়ে আহত নুরুল হক মুন্সি জানান, আমরা জমি চাষ করে ধান রোপণ করেছি। ধান পাকার সময় এলে লাঠিয়াল বাহিনী রাতের আঁধারে ধান কেটে নিয়ে যায়। আজ সকালে লাঠিয়াল বাহিনী আমার খেতে জোর পূর্বক ধান কাটা শুরু করলে আমরা বাধা দিলে আমাদেরকে গুরুতর আহত করে। তিনি আরও জানান, আমার প্রায় দুই একর জমির ধান লাঠিয়াল বাহিনী রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আহত ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা লাঠিয়াল বাহিনীকে বাধা দিলে আমাদের চুলের মুঠি ধরে ধান খেতের ভিতরে ফেলে লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে থাকা বগি, বাংলা দা, লোহার রড, কাচি দিয়ে আমাদেরকে এলোপাথারীভাবে কোপাতে থাকে। এ বিষয়ে চরকাজল ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা বলেন, ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply