পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ ক্ষুদ্র কথার রেশ ধরে বয়স্ক মহিলা সহ অল্প বয়সী নারীদের বেধম ভাবে মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় মৃত আলকাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলামের (৬০) পারিবারিক ভাইয়ের মেয়ে সংক্রান্ত তুচ্ছ কথাকে কেন্দ্র করে মারামারির সূত্রপাত। গত ২২/০৪/২০২১ তারিখ সকালে একতরফা ভাবে অমানবিক কায়দায় মোঃ সান্টুকে অমানবিক কায়দায় মারধর করে। এসময়ে তার স্ত্রী হাফিজা বেগম ও তার তিন মেয়েকে মারধোর করারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, রফিকের ভাতিজি নজরুলের মেয়ে লামিয়ার বিয়ে হয় মাত্র একমাস আগে বিবাহিত ছেলে নষ্ট প্রকৃতির বিবাহিত মোঃ লিটুর সাথে। এক মাস আগে বিশে হওয়া লামিয়ার আগাম বাচ্চা হওয়ার সংবাদ রাজাবাড়ি এলাকায় মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই রেশ ধরে টাউট ও নারী লোভী রফিক প্রতিবেশী সান্টু (৫৫) সহ হাফিজা (৪০), সালমা (২৩), আসমা (১৯) কে অমানবিক কায়দায় মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি রফিকের ভাই মোঃ নজরুলের দুই মেয়ে ও ছেলের বউ সাবিনাও মারামারিতে অংশ নেয় বলে এলাকার লোকজন গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান। এদিকে আন্তর্জাতিক বুদ্ধিমান ও টাউট খ্যাত রফিকের বউ সহ চার মেয়েও নিঃলজ্জ ভাবে বেহায়ার মত হাফিজাকে ও তার মেয়েদেরকে সংঘবদ্ধ হয়ে মারধর করে। তবে আসমার মাকে কামড়াতেও ভুল করেনি নষ্ট চক্ররা। তবে বিতর্কিত পরিবারের নজরুল ও রফিকের মেয়েরা আসমাকে মারতে মারতে বিবশ্র করে ফেলে বর্বর কায়দায়। রফিক ও নজরুল গংরা সান্টুর ছেলে আজীম কে মারতে ভুল করেনি। গত ২৪ তারিখের ঘটনা নিয়ে সমগ্র এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে হাজীবাড়ী এলাকার বেশির লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, লামিয়ার বিষয়ে তুচ্ছ কথাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করা ঠিক হয়নি। কোন সভ্য পরিবারের সদস্যরা এত বড় নগন্য কাজ করতে পারেনা। তবে ভিন্ন কথা বলেন বেশ কিছু সচেতন লোকজন। তারা অকপটে বলেন রফিক আমাদের এলাকায় একজন টাউট হিসেবে সকলে চিনে। সকল প্রকার খারাপ কাজ করতেও দ্বিধা বোধ করে না। আপন ভাতিজা লামিয়া কে নিয়ে নষ্ট খেলায় মেতেছেন। বয়স হওয়ার আগেই ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করে লম্পট বিবাহিত লিটুর সাথে গোপনে বাল্য বিয়ে দেয়। অপর দিকে লিটু তার সদ্য তিন মাসের বিবাহিত স্ত্রীকে জোর করে তালাপ দেয় বলে এলাকার লোকজন জানান। আসলেই রফিক ও নজরুলের পরিবার আমাদের এলাকায় চরম বিতর্কিত। স্বার্থের জন্য এরা সবকিছু করতে পারে। এদিকে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেছারাবাদ থানায় প্রথমে অভিযোগ করেনমোঃ সান্টু মিয়া । পরবর্তীতে থানা কতৃপক্ষ সঠিক তথ্য উদঘাটন করে মামলা নেন। মামলার বাদী মোঃ সান্টু মিয়া। মামলার ধারা অনুযায়ী ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা লিপিবদ্ধ হয়। মামলার প্রধান আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম (৬০), মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৪), মোঃ বেল্লাল (৩০), মোঃ লিটু (২৫), মোসাঃ শরীফা (৩৫), মোসাঃ খাদিজা (২৮) ও মোসাঃ সাবিনা (২৭) প্রমুখ। সর্বশেষ তথ্য মতে বর্তমানে আসামীরা গাঢাকা দিয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানান।তবে এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সমগ্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান পুরো বিষয়টি নিয়ে কঠিন নিন্দা জানায়। পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধীর কঠিন শান্তির দাবি জানান।। অবশ্য নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহসী উচ্চারণ করা অফিসার আবির মোঃ হোসেন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, সমগ্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।সব কিছু যাছাই বাছাই ঘটনার করে মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে সান্টু মিয়া মিডিয়াকে বলেন, আমি ন্যায়ের পক্ষে সঠিক বিচার চাই।
Leave a Reply