শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
বলদিয়া ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক টাউট রফিকুল ইসলামের কাছে নারীরাও নিরাপদ নয়

বলদিয়া ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক টাউট রফিকুল ইসলামের কাছে নারীরাও নিরাপদ নয়

পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ ক্ষুদ্র কথার রেশ ধরে বয়স্ক মহিলা সহ অল্প বয়সী নারীদের বেধম ভাবে মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় মৃত আলকাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলামের (৬০) পারিবারিক ভাইয়ের মেয়ে সংক্রান্ত তুচ্ছ কথাকে কেন্দ্র করে মারামারির সূত্রপাত। গত ২২/০৪/২০২১ তারিখ সকালে একতরফা ভাবে অমানবিক কায়দায় মোঃ সান্টুকে অমানবিক কায়দায় মারধর করে। এসময়ে তার স্ত্রী হাফিজা বেগম ও তার তিন মেয়েকে মারধোর করারও গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, রফিকের ভাতিজি নজরুলের মেয়ে লামিয়ার বিয়ে হয় মাত্র একমাস আগে বিবাহিত ছেলে নষ্ট প্রকৃতির বিবাহিত মোঃ লিটুর সাথে। এক মাস আগে বিশে হওয়া লামিয়ার আগাম বাচ্চা হওয়ার সংবাদ রাজাবাড়ি এলাকায় মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই রেশ ধরে টাউট ও নারী লোভী রফিক প্রতিবেশী সান্টু (৫৫) সহ হাফিজা (৪০), সালমা (২৩), আসমা (১৯) কে অমানবিক কায়দায় মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি রফিকের ভাই মোঃ নজরুলের দুই মেয়ে ও ছেলের বউ সাবিনাও মারামারিতে অংশ নেয় বলে এলাকার লোকজন গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান। এদিকে আন্তর্জাতিক বুদ্ধিমান ও টাউট খ্যাত রফিকের বউ সহ চার মেয়েও নিঃলজ্জ ভাবে বেহায়ার মত হাফিজাকে ও তার মেয়েদেরকে সংঘবদ্ধ হয়ে মারধর করে। তবে আসমার মাকে কামড়াতেও ভুল করেনি নষ্ট চক্ররা। তবে বিতর্কিত পরিবারের নজরুল ও রফিকের মেয়েরা আসমাকে মারতে মারতে বিবশ্র করে ফেলে বর্বর কায়দায়। রফিক ও নজরুল গংরা সান্টুর ছেলে আজীম কে মারতে ভুল করেনি। গত ২৪ তারিখের ঘটনা নিয়ে সমগ্র এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে হাজীবাড়ী এলাকার বেশির লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, লামিয়ার বিষয়ে তুচ্ছ কথাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করা ঠিক হয়নি। কোন সভ্য পরিবারের সদস্যরা এত বড় নগন্য কাজ করতে পারেনা। তবে ভিন্ন কথা বলেন বেশ কিছু সচেতন লোকজন। তারা অকপটে বলেন রফিক আমাদের এলাকায় একজন টাউট হিসেবে সকলে চিনে। সকল প্রকার খারাপ কাজ করতেও দ্বিধা বোধ করে না। আপন ভাতিজা লামিয়া কে নিয়ে নষ্ট খেলায় মেতেছেন। বয়স হওয়ার আগেই ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করে লম্পট বিবাহিত লিটুর সাথে গোপনে বাল্য বিয়ে দেয়। অপর দিকে লিটু তার সদ্য তিন মাসের বিবাহিত স্ত্রীকে জোর করে তালাপ দেয় বলে এলাকার লোকজন জানান। আসলেই রফিক ও নজরুলের পরিবার আমাদের এলাকায় চরম বিতর্কিত। স্বার্থের জন্য এরা সবকিছু করতে পারে। এদিকে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেছারাবাদ থানায় প্রথমে অভিযোগ করেনমোঃ সান্টু মিয়া । পরবর্তীতে থানা কতৃপক্ষ সঠিক তথ্য উদঘাটন করে মামলা নেন। মামলার বাদী মোঃ সান্টু মিয়া। মামলার ধারা অনুযায়ী ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা লিপিবদ্ধ হয়। মামলার প্রধান আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম (৬০), মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৪), মোঃ বেল্লাল (৩০), মোঃ লিটু (২৫), মোসাঃ শরীফা (৩৫), মোসাঃ খাদিজা (২৮) ও মোসাঃ সাবিনা (২৭) প্রমুখ। সর্বশেষ তথ্য মতে বর্তমানে আসামীরা গাঢাকা দিয়েছে বলে এলাকার লোকজন জানান।তবে এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সমগ্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান পুরো বিষয়টি নিয়ে কঠিন নিন্দা জানায়। পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধীর কঠিন শান্তির দাবি জানান।। অবশ্য নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহসী উচ্চারণ করা অফিসার আবির মোঃ হোসেন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, সমগ্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।সব কিছু যাছাই বাছাই ঘটনার করে মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে সান্টু মিয়া মিডিয়াকে বলেন, আমি ন্যায়ের পক্ষে সঠিক বিচার চাই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com