দৌলতখান প্রতিনিধি ॥ ভোলার দৌলতখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ষাটোর্ধ্ব আবদুল গনিকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন, প্রতিবেশী নুরে আলম ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন। আহত আবদুল গনি দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৬ নং দিদারউল্ল্যাহ গ্রামে সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার(১৮মে) দুপুরে আবদুল গনির মেয়ে শাহিনা বাদী হয়ে নুরে আলম, তার স্ত্রী ইয়াসমিন, ছেলে ফজলে রাব্বি বাবু (১২ বছর), আশরাফ ও জোসনার নাম উল্লেখ্য করে দৌলতখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবদুল গনি জানান, ঘটনার দিন সোমবার আছরের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় আমার সুপারি বাগানে প্রতিবেশি নুরে আলমের ছেলেসহ কয়েকজন ক্রিকেট খেলছিলো। তাদের খেলাধুলার কারণে বাগানের ছোট-ছোট গাছপালা ভেঙে যায়। এ কারণে তাদের বাগানে খেলাধুলা করতে নিষেধ করি। পরে ইয়াসমিন আমার ঘরে এসে ছেলে ফজলে রাব্বি বাবুকে (১২বছর) ঘাড় ধরে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী নুরে আলম, তার স্ত্রী ইয়াসমিন, ছেলে ফজলে রাব্বি বাবু (১২ বছর), আশরাফ ও জোসনার বেধড়ক মারধর করে। এতে করে আমার বাম-চোখে আঘাত লাগে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। অন্যদিকে অভিযুক্ত নুরে আলম বলেন, খেলাধুলা করার সময়ে ছেলে ফজলে রাব্বি বাবুকে মারধর করেন আবদুল গনি। বিষয়টি জানতে তার বাড়িতে গেলে সে আমাকেও মারধর করে। এসময় আবদুল গনি আমাকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন আবদুল গনির হাতের ইটের আঘাতে চোখে আঘাত পান। আমরা তাকে কোন মারধর করেনি। আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে নুরে আলম জানান। দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply