চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের চরকলমী ইউনিয়নে রুবেল(৩০) নামের এক যুবককে ঘুমের মধ্যে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গোপনাঙ্গে চেপে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী মিনারা বেগমের বিরুদ্ধে। রোববার গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের নাংলাপাতা গ্রামের স্বামী রুবেলের বসত ঘরে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে শ্রমিক স্বামী রুবেল বাদী হয়ে স্ত্রী মিনারা বেগম ও শ্যালক রুহুল আমিনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,চরকলমী ইউনিয়নের চরমঙ্গল গ্রামের জলিল সরদারের মেয়ে মিনারার সাথে নাংলাপাতা গ্রামের শ্রমিক রুবেলের ২০ বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের ঘরে তিন সন্তান রয়েছে। শ্রমিক স্বামী রুবেলের উপার্জিত প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা স্ত্রী মিনারা বেগমের কাছে জমা রাখেন। শনিবার তার প্রয়োজনে ওই টাকা স্ত্রীর কাছ থেকে ফেরৎ চাইলে স্ত্রী মিনারা তালবাহানা শুরু করেন। এবং তার শ্যালক রুহুল আমিনকে দিয়ে হুমকি ধামকি শুরু করেন। স্ত্রীর কাছে তার জমাকৃত টাকা নিয়ে সংসারে বিরোধ চলে আসছিলো। রোববার রাতে তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে স্ত্রী মিনার বেগম তার পরিদয়ের ওড়না দিয়ে স্বামী রুবেলের গলায় ফাঁস লাগিয়ে এবং গোপনাঙ্গ চেপে হত্যার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি চেতন হয়ে ঝাপটা ঝাপটি শুরু করলে স্ত্রী মিনার বেগম তার গোপনাঙ্গে চেপে ধরেন । তার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা তার ভাই জসিম ও ভাবি মাইনুর বেগম ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। শ্রমিক রুবেলের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি রাতেই স্থানীয় গন্যমান্যদের জানালে স্ত্রী মিনারা দুই সন্তান নিয়ে রাতেই পালিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।
রুবেলের ভাবি মাইনুর বেগম জানান, দেবর রুবেল ও তিনি পাশাপাশি ঘরে বসবাস করেন। রোববার গভীর রাতে রুবেলের চিৎকার শুনে তিনি এবং তার স্বামী ওই ঘরে ছুটে যান এবং দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেবরের স্ত্রী মিনারার কবল থেকে রুবেলকে উদ্ধার করেন।রুবেলের স্ত্রী মিনারা বেগম জানান, হত্যার চেষ্টার বিষয়টি সঠিক নয়।স্বামী রুবেলের সাথে তার পারিবারিক ভাবে ঝগড়া বিবাদ চলছিলো। শশীভূষণ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply