ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ ভান্ডারিয়া উপজেলা ৪নং ইকড়ি ইউনিয়ানের ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের হাতে হতদরিদ্র মোঃ মাকসুদ হাওলাদার (৫০)কে মঙ্গলবার বিকেলে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভান্ডারিয়া প্রেস ক্লাবে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম পশারিবুনিয়া গ্রামের মৃত্যু আঃ ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মোঃ মাকসুদ হাওলাদার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সুলভ মূল্য কার্ড (নং ১৭৮) এর ৩০ কেজি চাউল না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তার কার্ড বাতিলের অভিযোগ দেন। এতে ওই ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী মাকসুদকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রকাশ্যে চরথাপ্পর মারে। এ ছাড়া ১৮৮নং কার্ড ধারী মোঃ রফিক, পিতাঃ মৃত আঃ রশিদ হাওলাদার এর চাউল ইউপি চেয়ারম্যান সংশ্লিস্ট ইউপি সদস্যরা তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ডিলার মোঃ মোজ্জামেল হক ও ইউপি সদস্য মিলে তারা অরো অনেকের কার্ডের মাল ভাগভাগি করে আত্মসাৎ করে আসছে বলে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। যাহা তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সুমন চন্দ্র মন্ডল জানায় গত মার্চ মাসে মোঃ মাকসুদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবির। এলাকায় না থাকার অভিযোগ দিয়ে চেয়ারম্যান নাম কেটে দিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তাকে (মাকসুদ) আমি মেরেছি তার কোন স্বাক্ষী আছে কিনা আপনার কাছে লিখিত অভিযোগে। এ বলে মোবাইল ফোন কেটে দেয়। এদিকে উপজেলার সিসি টিভি ক্যামেরায় তাকে মারধরের ঘটনা দেখা যায়। তিনি আওয়ামীলীগের মনোনীত ও প্রভাবশালী চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউমুখ খুলছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর জানান তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। তবে কাডের্র ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে যার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এটি মাসুদের কিনা সঠিক বলতে পারছিনা।
Leave a Reply