বরগুনা প্রতিবেদক ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা-খাকদোন গ্রামের গোড়াই খালের কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল ওহাব হাওলাদার ও রাজ্জাক হাওলাদার। কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করায় ওই খালের পানি নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে। এতে ওই এলাকায় কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ১০ হাজার কৃষক। দ্রুত পাকা ভবন অপসারণ করে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা-খানদোন গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোড়াই খাল। শত বছরের এই খালটির পানি কুকুয়া ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ কৃষি কাজে ব্যবহার করেন। ওই খালে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আউশ ও আমনের বাম্পার ফলন হয়। গত তিন বছর পূর্বে ওই খালের রায়বালা-খাকদোন চৌরাস্তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ কালভার্ট নির্মাণ করে। ওই কালভার্টের নির্মাণ কাজ এ বছর জুন মাসে শেষ হয়। কিন্তু কালভার্টের কাজ শেষ হতে না হতেই স্থানীয় প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল ওহাব হাওলাদার ও রাজ্জাক হাওলাদার কালভার্টের দুই মুখ দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ প্রায়। এতে ওই এলাকার কৃষি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার কৃষক। প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য ওহাব হাওলাদারের ভয়ে স্থানীয়রা তার অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। দ্রুত পাকা ভবন সরিয়ে কালভার্ট দখল মুক্ত করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচলের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, কালভার্টের দুই মুখ প্রভাবশালী সাবেক ইউপি সদস্য ওহাব হাওলাদার ও রাজ্জাক হাওলাদার দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। এতে কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। স্থানীয় মোঃ সোহেল রানা বলেন, কালভার্ট দখল করে সাবেক ইউপি সদস্য ওহার হাওলাদার ও রাজ্জাক হাওলাদার পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। এতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ প্রায়। দ্রুত কালভার্ট দখল মুক্ত করার দাবী জানাই। কৃষক ময়জদ্দি সিকদার, হাবিব মৃধা ও হাবিব গাজী বলেন, কালভার্ট দখল করায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এতে কৃষি কাজে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত প্রশাসনের কাছে কালভার্ট দখল মুক্ত করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবী জানাই। সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল ওহাব হাওলাদার গোড়াই খাল ও কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, কৃষি কাজে ব্যাহত হয় এমন অনিয়ম কেউ করে থাকলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, খাল ও কালভার্ট দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করা অন্যায়। কালভার্ট দিয়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply