পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরে অশীতিপর বৃদ্ধা বকুল বালা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। গত চার মাস আগে সকলের অগোচরে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। পরিবারের স্বজনরা বহু খোঁজাখুঁজি করে আর তাকে ফিরে পাননি। মো. হাবিব রহমান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধাকে পথে দেখতে পেয়ে ছবি তুলে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃদ্ধার ঠিকানার সন্ধান চান। এরপর বৃদ্ধার পরিচয় উদঘাটন হয়।
গত শুক্রবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় পরিবারের স্বজনরা বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধা বকুলকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নিঁখোঁজ বৃদ্ধা বকুল বালা কাউখালী উপজেলার কেসরতা গ্রামের সুরেন্দ্র নাথ ম-লের স্ত্রী। পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃদ্ধা বয়সের ভারে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। গত চারমাস আগে সে নিরুদ্দেশ হয়। দরিদ্র পরিবারটির স্বজনরা আর তাকে খুঁজে পাননি।
শুক্রবার বরগুনার আমতলী গ্রামের হাবিবনামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বৃদ্ধার ছবি তুলে সামাজিক সাইটে একটা পোস্ট দিলে বিষয়টি আমার নজরে আসে। এরপর আমি নিখোঁজ বৃদ্ধার পরিচয় খুঁজে বের করতে নিজের ফেসবুকেও একটা পোস্ট দেই। এভাবে বৃদ্ধার পরিচয় উদঘাটন হয়। বিষয়টি পরিবারের স্বজনদের জানাই। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করলে বৃদ্ধা বকুল বালাকে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার তাতে আশ্রয় দেন। শুত্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধার মেয়ে সুমা ম-ল এর কাছে তাকে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিখোঁজ বৃদ্ধা বকুল বালার মেয়ে সুমা মন্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মা বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশের পর গত চার মাসে ফিরে না আসায় মায়ের জীবনের আশা আমরা ছেড়ে শোকাহত ছিলাম। আজ মাকে পেয়ে আনন্দ ফিওে পেয়েছি। যাদের কল্যাণে হারানো মাকে আমরা ফেরত পেয়েছি তাদেও যেন বিধাতা মঙ্গল করেন।
Leave a Reply