নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিতর্কিত এমএলএম ব্যবসার আদলে পণ্য বিক্রির নামে এক প্রতারণার ব্যবসা খুলে বসেছেন বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ব্যক্তি। প্রতারনার ব্যবসা করা ওই ব্যক্তি সরকারী গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রদলের সাবেক জিএস ফুয়াদ হোসেনের এ্যানির বড়ভাই রেজাউল করিম শাহিন। ভুক্তভোগি সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর পূর্বে গৌরনদী উপজেলা গেট সংলগ্ন মুছাফির খানার তৃতীয় তলায় নেও লাইফ গ্লোবাল লিমিটেড নামের একটি অফিস খুলে বসেন পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা প্রভাবশালী বিএনপি নেতা রেজাউল করিম শাহিন। এরপর বিএনপির কতিপয় ব্যক্তির মাধ্যমে বেকার যুবকদের প্রলোভন দেখিয়ে অফিসে এনে নাম সর্বস্ত্র পণ্য বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি সে নিজে নেও লাইফ গ্লোবাল লিমিটেডের গৌরনদী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করলেও নিজেকে ফাউন্ডার ডিরেক্টর হিসেবে দাবি করেন।
একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, গৌরনদী উপজেলা গেটের সামনে নেও লাইফ গ্লোবাল লিমিটেড নামের ওই অফিসের ফাউন্ডার ডিরেক্টর দাবিকারী রেজাউল করিম শাহিন তাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার পণ্য (প্যাকেজ) ক্রয় করিয়েছেন। এসব প্যাকেজের মধ্যে নাম সর্বস্ত্র পণ্য দিয়ে তা অন্যান্যদের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করতে বলেন। এমনকি প্যাকেজ ক্রয় করার পর তারা পণ্য বিক্রি করতে না পারলে দুই মাসের মধ্যে তাদের পণ্য বিক্রি করে দেয়ার আশ^াস দেন শাহিন। সে অনুযায়ী তারা এক একজন বিভিন্ন প্যাকেজ ক্রয় করেন। এরপর প্রতিটি প্যাকেজ ক্রয় বাবদ ব্যবসার জন্য মোবাইলে এক একটি আইডি খুলে দেন শাহিন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগিরা ওইসব পণ্য অধিক মূল্যে বিক্রির করতে না পেরে ও পণ্য কিংবা টাকা ফেরত না দেয়ায় শাহিনের প্রতারনার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। তবে প্রতারনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা শাহিন।
নেও লাইফ গ্লোবাল লিমিটেড নামের ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয়দানকারী নুরুল আমীন জানান, প্রতিষ্ঠানটি এমএলএম ব্যবসার আদলে নয়। তবে কেউ যদি কোম্পানীর পণ্য বিক্রি করে দেন তাকে কমিশন দেয়া হয়। রেজাউল করিম শাহিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহিন কোম্পানির ফাউন্ডার ডিরেক্টর নয়। তিনি কোম্পানীর গৌরনদী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
Leave a Reply