এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ পৃথিবী থেকে দুষ্টের দমন আর সজ্জন মানুষের রক্ষা করার জন্য স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভিত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ আর সেই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এই আবির্ভাবের তিথিকে ভক্তরা শুভ জন্মাষ্টমী হিসাবে উদযাপন করে থাকে। দিবসটি উপলক্ষে যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সাথে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে পিরোজপুর জেলা সহ বাকী সকল উপজেলার প্রধান প্রধান মন্দিরে জন্মাষ্টমী উদযাপন করে। স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রধান মন্দির সহ মাদ্রার শ্রী শ্রী সর্বজনীন হরি মন্দিরে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান। প্রতিবছর শুভ জন্মাষ্টমীতে শোভাযাত্রা সহ নানান আয়োজন থাকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তবে এবার সমগ্র বাংলাদেশ সহ জেলা সদরে মিছিল সমাবেশ হয়নি। অনুরূপ ভাবে নাজিরপুর, কাউখালি, ভান্ডারিয়া, মঠবাডিয়া, নেছারাবাদ, জিয়ানগরে করোনার প্রাদুর্ভাবে কোন রকম শোভা যাত্রা হয়নি। স্বাস্থ্য বিধির আওতায় সকল প্রধান প্রধান মন্দিরে আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। স্বরূপকাঠী উপজেলার মধ্যে অন্যতম সুপরিচিত মাদ্রা এলাকায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী উদযাপন করেন সর্বজনীন হরি মন্দিরে। মাদ্রা বাজারের মধ্যে অবস্থান শ্রী শ্রী সর্বজনীন হরি মন্দিরের। এ ব্যাপারে মন্দিরের পুরহিত স্থানীয় ও জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন,, ” ধর্মের আদর্শ ও শিক্ষা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হাজার বছরের সাম্প্রতিক সম্প্রতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে অশুভ শক্তিকে দমন করে সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠা করতে আবির্ভাব ঘটেছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ঞের। তার আর্বিভাবে বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। এদিকে মাদ্রা বাজারের মধ্যে চমৎকার পরিবেশ স্থাপন করে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান পালন করে মন্দিরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বহু ভক্তরা।
Leave a Reply