গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি ॥ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আতœসাত ও অশালীন আচরণের অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান সিকদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। (১৬ আগস্ট) রবিবার দুপুরে তার পরিষদের ১০ জন ইউপি সদস্য ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে অনাস্থা প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ইউপি সদস্যদের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
সুবিদপুর ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন, সুবিদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান সিকদার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নানা অনিয়নম ও দুর্নীতি করে আসছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ইউপি সদস্যদের ভয় দেখিয়ে প্রকল্প বানিয়ে রেজুলেশনে সই নিতেন। অথচ প্রকল্পের কোন কাজ না করেই লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের পুরনো ভবন ভাড়া দিয়ে তিন লাখ টাকা নিজের পকেটে নিয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললে সদস্য পদ থেকে বরখাস্তের ষড়যন্ত্র, হামলা, মামলা ও মেরে ফেলার হুমকি দিতো চেয়ারম্যান। অবশেষে পরিষদের সকল সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির রুখে দিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেন।
অভিযোগ অস্বাীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান সিকদার জানান,আমি কোন দূর্নীতি করি না বা কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না? সদস্যদের সাথে আমার মত বিরোধ হলো তারা দলীয় লোকজনকে কিছুই দেবে না বা দিতে চায়না। এদের পিছনে মদতদাতা হচ্ছে সোহেল মল্লিক যে,সোহেল মল্লিক ১৫৬টি বিভিন্ন দপ্তরের ভুয়া সিল নিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে আটক হয়েছিল যাহার মামলা নং ৬১/২০১৮ইং হাতিরঝিল থানা ঢাকা,সেই সোহেল মল্লিক। আমার পিছনে ইউপি সদস্যদের দিয়ে এসব করাইতেছে। সোহেল মল্লিক গত নির্বচনে আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেছে। তাই সে আমার পরিষদের সদস্যদের নিয়ে এ সকল তাল বাহনা করতেছে। আমার নেতা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমুর নির্দেশে কাজ করতেছি। তিনি আমার অভিভাবক এমন কোন কাজ করব না যাহাতে আমার নেতার ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ক্ষতি হয়। আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।
Leave a Reply