গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলার মানপাশা গ্রামের মরহুম মৌজে আলী খানের পুত্র সন্তান মো.মতিউর রহমান খান। মানপাশা অজোপাড়া গায়ে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। লেখা পড়া জীবন শেষ করে ঝালকাঠি সিভিল সার্জন অফিসের সহকারী হিসাবে ১৯৮৮ সালে যোগদান করেন মতিন।
জেলার কাঠালিয়,আমুয়া,নলছিটি চাকুরি করে পদোন্নতি পেয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রধান সহকারী হিসাবে যোগদান করেন।
বর্তমানে সদর হাসপাতালে দীর্ঘ ১০বছরের বেশি সময় সুনামের সাথে কর্মরত আছেন।
তার এই চাকরি জীবনে কখনো কারো সাথে বা প্রতিবেশীদের সাথেও তার ত্রুটিপূর্ন কোন কাজ করেন নি তিনি। সকাল ৮টার মধ্যে অফিসে আসেন ও সকল কাজ কর্ম শেষ করতে অনেক সময় রাত হয়ে গিয়েছে বাড়িতে ফিরতে। নিজের জীবনের থেকেও বেশি তার কর্মজীবনকে বেশি প্রধান্য দিয়েছেন। জেলা হাসপাতালে প্রায় ২ থেকে আড়াইশ ডাক্তার ও নার্স রয়েছে,এদের অফিসিয়াল কাগজপত্র থেকে শুরু করে এবং রোগীদের সাথে তাদের আঁচার ব্যবহার ঠিকমত করছে কিনা সব কিছু ম্যান্টেন করেছেন মতিউর রহমান খান।
বর্তমান করোনাকালীন দূর্যোগের মধ্যে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কোন আইসোলেশন ওয়ার্ড ছিলোনা। রোগীদের বরিশাল পাঠিয়ে দিতো ডাক্তাররা। ঝালকাঠির রোগী বরিশাল যাবে তারপর চিকিৎসা করাবেন আমার ঝালকাঠির লোক এটা মতিনের কাছে একটু খারাপ লাগে। তাই তিনি ডাক্তার ও সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে দুইদিনের মধ্যে হাসপাতালের ডায়েরীয়া ওয়ার্ডকে খালি করিয়ে সেখানে কোভিড- ১৯ আইসোলেশন ২০ শয্যার ওয়ার্ড তৈরি করেন।
ফলে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে কোভিড -১৯ (করোনা) রোগীর চিকিৎসার জন্য নতুন করে ২০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আইসোলেশন ইউনিটে কোভিড -১৯ (করোনা) রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা সরকারি খরচে আবাসিক হোটেলে থেকে রোস্টার অনুযায়ী ০৭ দিন চিকিৎসা দেবে এবং ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সহ মোট ২১ দিন করে একটি টিম দায়িত্ব পালন করবে। সেখানে সরকার নির্ধারিত জন প্রতি প্রতিদিন ৫০০/- টাকা হারে খাবার সরবরাহ হবে। ২০১৯-২০ অর্থ বৎসরে কোন নগদ টাকা চিকিৎসায় নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীকে পরিশোধ করার বিধান ছিল না। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক ভবন গুলি দীর্ঘদিন খালি থাকায় স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সরকারী অর্থ সাশ্রয়ের নিমিত্তে ডাক্তার এবং নার্স সহ অন্যান্য কর্মচারীকে হাসপাতালের আবাসিক ভবনে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং খাবারের জন্য হোটেল নির্ধারণ করা হয়। প্রতি দিন চাহিদা অনুযায়ী হোটেল থেকে খাবার সরবরাহ করেন এবং হোটেল মালিক ৫০০/- হারে ৪২০টি বিল দাখিল করলে আয়কর ভ্যাট কর্তন পূর্বক বিধি মোতাবেক বিল পরিশোধ করা হয় । ১৫-১৬ দিন পরে রোগী না থাকায় চিকিৎসায় নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খাওয়ার ব্যবস্থা করেন এবং হেটেল হইতে কর্মকর্তা কর্মচারীরা ২৭৭টি খাবার খান। উক্ত ২ সপ্তাহে ১২ জন নার্স ,৬ জন চিকিৎসক এবং ০৩ জন্য স্বাস্থ্য কর্মী (রোস্টার অনুযায়ী) চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিল। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সিন্ধান্ত মোতাবেক ডাক্তার ,নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের বাকি খাবারের টাকা হোটেল মালিকের নিকট থেকে সংগ্রহ করে নার্সিং স্টাফদের ০৬ জনকে ৪০০০/- টাকা করে ২৪০০০/- হাজার টাকা শাহরুননেছার নিকট,এবং ০৬ জন নার্সকে ২০০০/- করে ১২০০০-/ টাকা রেখা রানিকে দেয়া হয় । বাকি টাকা ডাক্তার এবং অন্যান্য কর্মচারিদেরকে প্রদান করেন মতিউর রহমান খান এ তথ্য পাওয়া যায় । তবে নাসির্ং স্টাফদের টাকা শাহরুননেছার এবং রেখা রানি তারা সম্পূর্ন টাকা ২ জনে নিজেরা নিতে চাইলে মতিউর রহমান উক্ত টাকা অন্য সকলকে বন্টন করে দিতে বলায় তার বিরুদ্ধে খুব্ধহয়ে সংবাদ কর্মীদের নিকট মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেন বলে জানযায়। আরো জানাযায় শাহরুননেছা অবৈধ ভাবে পদোন্নতির আবেদন করায় তাকে পদোন্নতি না দিলে প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে লিপ্ত হয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
জেলা হিসাব রক্ষন অফিসের তথ্য অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন সময় চিকিৎসকদের পরিবহন বাবদ বিধি মোতাবেক দর নির্ধারণ করে গাড়ির মালিককে চুক্তি অনুযায়ী ২ মাসের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কোভিড- ১৯ (করোনা) রোগের মোাকবেলার জন্য আনুষাঙ্গিক মালামাল ক্রয়ের নিমিত্তে ২০১৯-২০ অর্থ বৎসরের নির্বাচিত ঠিকাদার মেসার্স সকাল সন্ধ্যার মাধ্যমে স্টোর কিপারের চাহিদা অনুযায়ী মালামাল ক্রয় পূর্বক মেসার্স সকাল সন্ধ্যা-কে ০৪ মাসের বিল পরিশোধ করা হইয়াছে। এবং সিডিউল বহিঃভুত কিছু মালামাল স্টোর কিপার বিধি অনুযায়ী ক্রয় করে বিল দাখিল করিলে মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে বিল পরিশোধ করা হয়। মোঃ মতিউর রহমানের নামে কোন বিল পরিশোধের তথ্য পাওয়া যায় নাই। এখন ঝালকাঠি করোনা রোগীদের আর বরিশাল যেতে হয় না। এ অবদান কার অবশ্যই প্রধান সহকারী মো.মতিউর রহমান খানের।
আপনি যে,কাজই করুন না কেন? প্রথমে একজনকে শুরু করতে হয়,তার দেখাদেখি সকলে করে।
একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার পরেও কতিপয় কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বার্তা বলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। বর্তমান সমাজে ভালো কাজ করলে তাকে খারাপ বলার মতো কিছু লোক থাকবেই। তারপরেও জনগণের সেবা দিতে হবে। সরকার দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন? তার জনগণের সেবায় কোন ত্রুটি হলে বা গাফিলতি করতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত ও করতে পারেন।
এ ব্যাপারে সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার মো.মাসুম আলীর কাছে মতিনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ঝালকাঠিতে সিভিল সার্জন থাকাকালীন কোন কিছু করার সুযোগ পায়েনি বা আমিও করতে দেয়নি। আমি তাকে কোন ধরনের খারাপ কিছু করতে দেখিনি। ঝালকাঠির মানুষ কেমন আছে? জানতে চায় ও বিষেশ করে সাংবাদিকরা সবাই ভালো আছেন?
এ ব্যাপারে সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল রহিম জানান,ঝালকাঠিতে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলাম অনেক ঘটনা অনেক সমস্যার সন্মুখিন হয়েছি। কিন্তু মতিনের মত সৎ সাহসি লোক আমি পাইনি। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে একজন ভালো লোক আছে বিধায় সব ব্যাপারে খেয়াল রাখেন,নিজের মত করে ডিউটি ভাগ করে দিয়েছেন। কোন অভিযোগ আমি তার ব্যাপারে কখনো পাইনি। বর্তমান সময় কঠিন সময় চলছে সেখানে মতিনের মত লোক আছে বিধায় ঠিকঠাক চালিয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার শ্যামল কৃষœ হাওলাদার জানান,আমার আমলে তাকে খারাপ কিছু করতে দেখিনি। আমরা তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনতেছি আপনি যাওয়ার পরে সেটা কি মিথ্যা স্যার,উত্তরে তিনি বলেন,আপনি তার কাছে গিয়ে জানেন,কেউ মুখে বললে তো হবেনা? বাস্তবে দেখতে হবে। মতিন সাহেব বিধি মোতাবেক সব কিছু করেছে এবং সে সরকারের টাকা অপচয় না করে ফেরত দিয়েছে। আমি মনেকরি সে একজন জ্ঞানি মানুষ তাকে আমি কখনো কোন রকমের দূর্নীতির বিন্দুমাত্র প্রমান পাইনি বা দেখিনি।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী মতিউর রহমান খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মনন্ত্রনায় থেকে একটি চিঠি এসেছে সেখানে বলা হয়েছে কোন মিডিয়ার লোকের সাথে কথা বলা যাবেনা। তাই আমি কিছুই বলতে পারবোনা।
I was very disapointed in the plastic band…..I expected more from Micheal Kors!!!