বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) ভুয়া পরিচয়ে অনৈতিক কাজ করায় বাদল মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি এএসপির পরিচয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েদেরকে অশ্লীল ভিডিও পাঠানোসহ তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। বাদল মিয়া এখন ব্রাক্ষণবাড়িয়া কারাগারে আছেন। বরগুনা ডিবি পুলিশ বাদল নামের এ যুবককে আটক করেছে। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের নলি চরগাছিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ দফাদারের ছেলে।
শনিবার সন্ধ্যার পরে বরগুনা পৌরসভার সামনে নিজের রায়দা নামক ফার্মেসি থেকে বাদলকে আটক করা হয়। বরগুনার পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাদল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদের নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলেন। সেই আইডিতে তার ছবি ব্যবহার করে দীর্ঘ এক বছর যাবত বিভিন্ন মেয়েদের কাছে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠাতেন। এছাড়াও তিনি কমপক্ষে সাত থেকে আটজনের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ আইডির সন্ধান পেয়ে বিস্তারিত তথ্য নেয়া শুরু করেন। পরে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাদলকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান বলেন, অভিযুক্ত বাদল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নাম ও ছবি ব্যবহার করে একটি ভুয়া আইডি খুলে প্রায় ৬০০ মানুষকে বন্ধু বানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পরিচয় দেন। এদের মধ্যে ১৫০ জনই হচ্ছে মেয়ে বন্ধু। তিনি ১০০ মেয়ের সাথে চ্যাটিং এবং তাদেরকে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠাতেন। এছাড়াও বাদল ওই পরিচয়ে একাধিক নারীর সাথেও শারীরিক সম্পর্কও করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, ভুয়া আইডিটি বাদল একাই পরিচালনা করতেন। মেহেদী হাছান আরো বলেন, এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদলকে আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply