শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
কীর্তিপাশার ভূয়া এনজিও মালিক টাউট শহিদুল ইসলামের কাছে জিম্মি ঝালকাঠি ও স্বরূপকাঠিবাসীরা

কীর্তিপাশার ভূয়া এনজিও মালিক টাউট শহিদুল ইসলামের কাছে জিম্মি ঝালকাঠি ও স্বরূপকাঠিবাসীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুচিন্তা ও কুভাবনা নিয়ে নিজ গ্রাম আমু নগর সহ কীর্তিপাসার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভূয়া এন জিওর নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বে আইনি ভাবে দর্জি বিজ্ঞান একতা শক্তি সঞ্চয় সমবায় সমিতির নাম দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থকড়ি। এলাকার ভুক্ত ভোগীরা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, গোবিন্দ ধবল ( আমু নগর) গ্রামের সুলতানের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম বিগত সময়ে থেকেই টাউট শহিদুল নামে সুপরিচিত। তবে ভুক্ত ভোগীরা আরও বলেন, আসলে কোনটা লাইসেন্স আছে কিংবা নেই তা নিয়ে হিসাব নিকাশ আমরা সাধারণ মানুষ কখনোই করিনা। তবে স্বরূপকাঠি উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে চিটার শহিদুল ইসলাম গোমর ফাঁস হয়ে গেলে আমরা সকলেই আতঙ্কিত ও চিন্তিত হয়ে পডি। তবে এলাকার স্বার্থে টাউট বাটপারি করার জন্য দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে সরেজমিনে বাটপার নামে শহিদুল ইসলামের বহু অজানা তথ্য বের করতে সক্ষম হন গণ মাধ্যম কর্মীরা। স্বরূপকাঠি সহ কীর্তিপাসার বহু গ্রামের মধ্যে গিয়ে অনেক কিছু তথ্য জানা যায়। কীর্তিপাসার বহু সংখ্যা লঘুদের জবান বন্দিতে জানা যায়, চিটার শহিদুল ইসলাম একটি এন জিওর চাকুরী করতো। চাকুরী করার সময়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের বইয়ের নমুনা কপি করে শুরু করে দেয় এক ধরনের প্রতারণা। বই সহ বহু কাগজ পত্র দর্জি বিজ্ঞান ব্যাবহার করে সাধারণত মানুষদের ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কীর্তিপাসার বহু লোকজন জানান, চিটার শহিদুলের বাবাও বিগত সময়ে চিটিংবাজীর কারণে আজ অন্ধ হয়েছে। শতভাগ খাঁটি কথা বললেন বহু মুসলিম পরিবার সহ হিন্দু পরিবারের লোকজন। আবার সেই অন্ধ সুলতানের মত প্রতারণা সহ বহু অপকর্মে লিপ্ত থাকার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে ভূয়া এন জিওর করার খল নায়ক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এদিকে ঝালকাঠির সমবায় অফিসে যোগাযোগ করে অনেক কিছু তথ্য বের করা সম্ভব হয়েছে। জেলা সমবায় অফিসার জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, শহিদুল ইসলাম একদিন আলাপ করেন দর্জি বিজ্ঞান সমিতির লাইসেন্স নিয়ে। আমরা এর চেয়ে বেশি কিছু জানিনা। মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে জানান, বর্তমানে ঝালকাঠির বিভিন্ন উপজেলা সহ বহু ইউনিয়নে বহু নামে বেনামে অবৈধ ও ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে সমবায় সমিতির নাম ব্যাবহার করে অন্যায় করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। আসলে এজাতীয় টাউট বাটপারদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির বিধান করা দরকার। তবে ভিন্ন কথা বলেন নেছারাবাদ উপজেলার সমাজ সেবা অফিসার। তিনি স্থানীয় ও জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে সমবায় সমিতির নাম ব্যাবহার করে সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলে এদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। তবে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে প্রতারিত হওয়া সাধারণ মানুষের ভাষ্য, আমরা চিটার ও ভূয়া এন জিওর মালিক মোঃ শহিদুল ইসলামের কঠিন শাস্তির দাবি জানান। তবে জলাবাড়ীর মধ্যে সবচেয়ে প্রতারিত হওয়ার সংখ্যা বেশী। এলাকার হরিপদ মিস্ত্রি সহ কার্তিক মন্ডল, মিনতি দাশ, তামান্নাগংরা আরো জানান, টাউট বাটপারির খল নায়ক ভূয়া এন জিওর মালিক মোঃ শহিদুল ইসলামের কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি চায়। এ ব্যাপারে কীর্তিপাসার পুলিশ ফাঁড়ির প্রধান গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমাদের কাছে বিগত সময়ে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বহু মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুসারে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে। তবে কীর্তিপাসার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার চেয়ারম্যান জানান, বলতে লজ্জা হয় তারপরও সত্য। শহিদুল ইসলাম এলাকায় একজন পাকাপোক্ত টাউট। ওর বাবার চরিত্র ফুটে উঠেছে শহিদুলের মধ্যে। তবে কীর্তিপাশার বেশির ভাগ লোকজন শহিদুলকে বাটপার হিসেবে চিনে। অবশ্য টাউট শহিদুলের কাছে উভয় জেলা ও উপজেলার মধ্যে গ্রামের সাধারণ মহিলারা বেশি প্রতারিত হয়েছে বলে জানান। সর্বপরি এলাকার স্বার্থে এজাতীয় টাউট লোকদের কঠিন শাস্তির দাবি জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com