নড়াইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বিডি খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক লিটন দত্তের বিরুদ্ধে যৌতুক, মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং কুকর্মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার প্রথম স্ত্রী পপি বিশ্বাস।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নড়াইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে যৌতুকের দাবি, বিভিন্ন অনৈতিক ও অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন পপি বিশ্বাস। এ সময় তার ১০ বছর বয়সী ছেলে দিপ্র ও ৬ বছর বয়সী মেয়ে জয়িতা উপস্থিত ছিল।
লিখিত বক্তব্যে পপি বিশ্বাস জানান, ২০০৭ সালে সদর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের রায়খালী গ্রামের লিটন দত্তের সঙ্গে যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক প্রমথ বিশ্বাসের মেয়ে পপি বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার বাবা লিটনকে যৌতুক হিসেবে নগদ চার লাখ টাকা ও চার ভরি সোনার গহনা প্রদান করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আরও যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন লিটন। যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হলেই তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হতো।
মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিভিন্ন সময় পপির বাবা সমিতি থেকে ঋণ করেন, নিজেদের জমির ফসল ও জমি বিক্রি করে এবং জমি বন্ধক দিয়ে স্বামীর দাবি করা যৌতুকের অর্থ পরিশোধ করেছেন। এভাবে লিটনকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও টাকা দাবি করেন লিটন। স্বামীর দাবিকৃত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় আবারও তাকে নির্যাতন শুরু করেন লিটন। এ কারণে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেওয়ার পর দুই সন্তানসহ তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
স্বামীর প্রসঙ্গে পপি বিশ্বাস বলেন, ‘চার বছর ধরে সে আমার এবং দুই সন্তানের কোনো খোঁজ-খবর নেয় না। আমি নিজে রক্ত বিক্রি করে তাকে টাকা দিয়েছি। বাবার এত বড় দেনা শোধ করতে নড়াইলে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সে ও তার কয়েকজন সহযোগী আমাকে মারধর করে এবং ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পর ফেলে দেয়। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর স্বামী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।‘
এ বিষয়ে দৈনিক বিডি খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক লিটন দত্তকে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply